আইন-আদালত

নাঈম আশরাফের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি

রাজধানী বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন রোববার দুপুরে নাঈম আশরাফের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতির আদেশ দেন। পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ- সিআইডি’র ফরেনসিক বিভাগকে এ পরীক্ষার নির্দেশনা দেয়া হয়।

এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিদর্শক ইসমত আরা এমা নাঈম আশরাফের ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন।

একই দিন ধর্ষণের ওই ঘটনার ভিডিওচিত্র উদ্ধারের জন্য মামলার অপর দুই আসামি সাফাত ও সাদমানের জব্দ করা পাঁচটি মোবাইল সেট এবং তাদের ব্যবহৃত একটি পাওয়ার ব্যাংক ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানোর অনুমতি দেন আদালত।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম আহসান হাবিবের আদালতে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

জবানবন্দিতে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ বলেন, ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে হোটেল পিকাসোতে ভিকটিম দুই তরুণীর সঙ্গে বন্ধু সাদমান সাকিফের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের সঙ্গে মোবাইলে কথোপকথন হতো।

২৮ মার্চ সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ওই হোটেলে দুই তরুণীকে আমন্ত্রণ করেন সাদমান। পার্টিতে আসার পর তারা সুইমিং পুলে গোসল করেন। গোসল শেষে জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

এরপর দুই তরুণীকে নিয়ে সাফাত ও নাঈম পৃথক দুটি রুমে যান। রুমে কথা বলতে বলতে দুই তরুণীর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হন তারা। একপর্যায়ে সাফাত ও সাদমান দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।

Advertisement

ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ (সিরাজগঞ্জের আবদুল হালিম) ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা।

গত ১১ মে রাতে সিলেট থেকে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে গ্রেফতার করা হয়। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলার প্রধান আসামি সাফাতকে ছয়দিন ও সাদমানকে পাঁচদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম।

মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামিকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জেএ/এমএআর/এমএস