খেলাধুলা

বিশ্বকাপজয়ী লামের রাজকীয় বিদায়, আলোনসোরও

তার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে জার্মানি। ২০১৪ ব্রাজিলে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ১-০ ব্যবধানে হারায় জার্মানরা। এরপর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দেন ফিলিপ লাম। বিশ্বজয়ী অধিনায়কের অবসরে অবাক হয়েছিলেন অনেকে। কারণ বয়স যে তখন তার বেশি ছিল না; মাত্র ৩১ বছর (বর্তমানে ৩৩)। অথচ তারই স্বদেশি মিরোস্লাভ ক্লোজা বিশ্বকাপে খেলেছেন ৩৫ বছর বয়সে।

Advertisement

এ মৌসুম শেষেই ফুটবল ক্যারিয়ারকেই বিদায় বলছেন। তার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। অথচ বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে তার চুক্তি রয়েছে ২০১৮ পর্যন্ত। সেই চুক্তি আর বাড়াতে চান না তিনি। এবার পরিবারকে পুরোপুরি সময় দেবেন। তাই ফুটবলকে বিদায় বলে দেয়া।

বিশ্বকাপজয়ী লামের বিদায়টা হলো রাজকীয়। বায়ার্নকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। আবার লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ফ্রেইবুর্গকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লামের দল। তার বিদায়ী ম্যাচে বাভারিয়ানদের হয়ে গোলগুলো করেছেন  আরিয়েন রোবেন, আর্তুরো ভিদাল, ফ্রাঙ্ক রিবেরি ও জসুয়া কিমিচ। লিগে রেকর্ড টানা পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ল লামের দল। ক্লাবটির ইতিহাসে এটা তাদের ২৭তম লিগ শিরোপা।

এদিকে রাজকীয় বিদায় হয়ে আরেক চ্যাম্পিয়ন জাভি আলোনসোরও। বায়ার্নে খেলে ফেলেছেন শেষ ম্যাচটি। বিদায়টা রাঙালেন তিনিও। ২০১০ সালে স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ক্লাব ফুটবলে লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে তার স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত।

Advertisement

নিজের বিদায়ী ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখলেন আলোনসো। তার জন্য খুব বেশি সময় নেননি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে লিড পায় বায়ার্ন। ওই গোলটির জোগানদাতা আলোনসো। তার দুর্দান্ত এক পাস ধরেই ফ্রেইবুর্গের জাল কাঁপান আরিয়েন রোবেন।

আলোনসো-লামকে বিদায় জানাতে কানায় কানায় পূর্ণ হয় অ্যালিয়েঞ্জ আরিনার গ্যালারি। ৭৫ হাজার দর্শক সমাগম হয় বিখ্যাত এই স্টেডিয়ামে। আলোনসো ও লামের পরিবারের সদস্যরাও হাজির হন এই বিদায়ী ম্যাচে। বড় জয়ের আনন্দেই বিদায়টা রাঙালেন বিশ্বকাপজয়ী দুই ফুটবলার। এমন বিদায় ক`জনারই বা হয়! ফুটবল নিশ্চয়ই মিস করবে আলোনসো-লামকে।

এনইউ/এমএস

Advertisement