বিশাল বাহিনী। নেতৃত্বে ছিলেন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি)। সঙ্গে ছিলেন মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনারও (ডিসি)। চলল প্রায় দুই ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান। খবর পেয়ে মিডিয়াও ঘিরে রইল পুরো কার্যালয়। গুরুত্ব, উৎসাহ সর্বত্রই। উৎকণ্ঠারও কমতি ছিল না কার্যালয়ে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের মাঝে। সবশেষে ফলাফল শূন্য। কিছু মিলল না কার্যালয়ে।
Advertisement
এটি বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশি অভিযানের চিত্র। একটি সাধারণ ডায়েরির (জিডি) ভিত্তিতে আজ শনিবার সকালে এই অভিযান চালানো হয়।
ওই জিডিতে অভিযোগ করা হয়, ‘রাষ্ট্রবিরোধী ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা বিনষ্টসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণের আহ্বানমূলক বিভিন্ন বক্তব্য সম্বলিত বিপুল পরিমাণ স্টিকার ও নাশকতা সৃষ্টির সামগ্রী রয়েছে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে’।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা শনিবার সকালেই ঘিরে ফেলে এ কার্যালয়। তল্লাশি চলে সকাল সোয়া ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। তল্লাশির নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান থানার উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ। মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উত্তর বিভাগের ডিসি শেখ নাজমুল আলমও অভিযানে অংশ নেন। তল্লাশির সময় মিডিয়া ভেতরে প্রবেশ করতে না পারলেও অধীর আগ্রহ নিয়ে বাইরে অপেক্ষায় থাকে। প্রায় রুদ্ধশ্বাস এ অভিযানে কিছুই পেল না পুলিশ।
Advertisement
যদিও অভিযানের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি পুলিশের কোনো কর্মকর্তা। তবে বিএনপির নেতারা এই তল্লাশি অভিযান নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘একটি অজ্ঞাতনামা জিডির রেশ ধরে এ তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিএনপির মতো একটি দলের কার্যালয়ে এভাবে হঠাৎ করে কোনো প্রকার নোটিশ বা আগাম না জানিয়ে তল্লাশি চালানো গণতান্ত্রিক রাজনীতির উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। এর তীব্র নিন্দা জানাই। খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতেই ক্ষমতাসীন সরকার এই পুলিশি হানা দিয়েছে।’
এএসএস/জেডএ/ওআর/এমএস