দুই বছর আগে সৌদি আরব সফরে গিয়ে হেডস্কার্ফ না পরায় সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার সমালোচনায় মেতে উঠেছিলেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে স্ত্রীসহ সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তিনি।
Advertisement
দুই বছর আগে মিশেল ওবামা হেডস্কার্ফ না পরায় ট্রাম্প সমালোচনা করলেও স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প এবার সৌদি সফর করছেন হেডস্কার্ফ ছাড়াই। স্ত্রী মেলানিয়ার সমালোচনা না করলেও মার্কিন এ প্রেসিডেন্টের দ্বিমুখী আচরণ ও মনোভাবের সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেয়ার পর সৌদি আরবে প্রথম সফর করছেন ট্রাম্প। সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প ও ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও জামাতা জেরার্ড কুশনার। সংরক্ষণশীল সৌদি আরব সফরে ট্রাম্পপত্নীকে দেখা গেছে কালো রঙের দীর্ঘ পোশাকে। ট্রাম্প কন্যা ইভানকাও পরেছিলেন দীর্ঘ পোশাক। তিনিও হেডস্কার্ফ পরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
দুই বছর আগে সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ’র জানাজায় অংশ নিতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্ত্রী মিশেল ওবামাকে নিয়ে রিয়াদে যান। ওই সময় মিশেল ওবামা হেডস্কার্ফ না করায় সমালোচনা করেন ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Advertisement
ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক টুইটে ট্রাম্প লিখেছিলেন, এটা করে আয়োজকদের অপমান করেছেন মিশেল ওবামা।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে দেয়া ওই টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, সৌদি আরবে স্কার্ফ পরতে অস্বীকৃতি জানানোয় অনেকেই বলছেন, এটা চমৎকার। কিন্তু তারা অপমানিত হয়েছেন। আমাদের পর্যাপ্ত শত্রু আছে।
বাড়ি থেকে বের হতে হলে সৌদি নারীদের জন্য আইনিভাবেই স্কার্ফ পরা বাধ্যতামূলক। তবে সেদেশে সফরে যাওয়া পশ্চিমা বিশ্বের অনেকে বিশিষ্ট নারী সৌদি আরবের এই আইন অমান্য করেন। এর আগে চলতি বছরে সৌদি আরব সফরে গিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মরকেলও হেডস্কার্ফ পরা থেকে বিরত ছিলেন।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
Advertisement
এসআইএস/জেআইএম