ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম ৪ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ। কি অবাক হয়ে গেলেন! ভাবছেন, যার ক্যারিয়ার শুরু ৫ উইকেট শিকার দিয়ে। দ্বিতীয় খেলায় যে বোলারের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৬ উইকেট, সেই বোলার দুই বছর পার করে ১৭ নম্বর ম্যাচে এসে কিনা প্রথম চার উইকেট পেলেন! মেলাতে গিয়ে ধাঁধায় পড়ে যাচ্ছেন। ঘুরিয়ে বললে গোলমেলে ঠেকছে তাই না। তা পড়ারই কথা।
Advertisement
তবে পরিসংখ্যান জানাচ্ছে সেটাই ঠিক। গতকাল ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে কাটার মাষ্টারের বলে আউট হয়েছেন চার আইরিশ। ইতিহাস ও পরিসংখ্যান সাক্ষী দিচ্ছে এটাই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৪ উইকেট শিকার মোস্তাফিজের। কালকের ম্যাচের আগে ১৬ খেলায় তিনবার পাঁচ বা তার বেশি ( দুবার ৫ উইকেট আর একবার ৬ উইকেট) উইকেটের পতন ঘটিয়েছেন মোস্তাফিজ। তিনবার তার ঝুলিতে তিনটি করে উইকেট জমা পড়েছে। আর দুটি করে উইকেট পেয়েছেন ছয়বার। এক উইকেট মাত্র একবার।
ম্যাচে উইকেট না পাবার ঘটনা আছে দুটি ; প্রথমবার ২০১৫ সালের ১০ জুলাই শেরে বাংলায় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ৬ ওভারে ০/১৫। আর পরেরবার ঐ বছরই ৭ নভেম্বর; সেটাও মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। ঐ ম্যাচেও ৬ ওভারে ২৭ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন এ বাঁহাতি পেসার।
তাহলে কারিয়ারের ব্রেক আপ কি দাড়ালো ? মিলিয়ে নিন, ১৭ ম্যাচ। পাঁচ বা তার বেশি উইকেট তিনবার ( দুবার ভারতের বিরুদ্ধে ৫/৫০ ও ৬/৪৩)। আর একবার জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ৫/৩৪)। তিন উইকেট তিনবার (৩/৩৮+৩/৩৩+৩/৫৬)। দুই উইকেট ছয়বার। আর এক উইকেট একবার। দুই ম্যাচ উইকেট শূন্য। যোগ করে দাঁড়ালো ১৫ ম্যাচ। আর গত ১২ মে আয়ারল্যান্ডের সাথে ডাবলিনে বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে যাওয়া ম্যাচে বোলিংয়ের সুযোগ পাননি।
Advertisement
তাই পরিসংখ্যান জানাচ্ছে ১৭ খেলায় অংশ নিলেও বল করার সুযোগ মিলেছে ১৬ বার। যার ১৫ ম্যাচের ব্রেক আপ ওপরে দেয়া হয়েছে। এবার নিশ্চয়ই পরিষ্কার হয়েছে, ১৭ খেলায় ৪২ উইকেট শিকারি মোস্তাফিজ। গত ১৯ মে শুক্রবার প্রথম ৪ উইকেট শিকার করেছেন।
এবিআর/এমআর/জেআইএম