সবুজ উইকেটে প্রথমে জ্বলে উঠলেন মোস্তাফিজ। দুর্দান্ত বোলিং করে তুলে নিলেন ৪ উইকেট। আর তার বোলিংয়ে সঙ্গে মাশরাফি ও সানজামুলের পারফরমেন্সে আয়ারল্যান্ড পেল স্বল্প পুঁজি। আইরিশ বোলাদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন সৌম্য। তুলে নিলেন টানা দ্বিতীয় অর্ধশত। আর সাতক্ষীরার দুই টাইগারের উপর ভর করেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয় পেল বাংলাদেশ।
Advertisement
হারলেই ছিটকে যেতে হবে শিরোপার রেস থেকে। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। আর তার সিদ্ধান্তকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মোস্তাফিজ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দেখা মেলে সেই পুরনো মোস্তাফিজের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরান স্টার্লিংকে। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন পল স্টার্লিং।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে আয়ারল্যান্ড। মোস্তাফিজ-রুবেলদের উপর চড়াও হয়ে রানের চাকা সচল করতে থাকে অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড। তবে মাশরাফির বলে জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পরেননি আইরিশ অধিনায়ক। পরের ওভারেই মোসাদ্দেককে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে যান পোর্টারফিল্ড। পোর্টারফিল্ডের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারলেন না বালবিরনি। সাকিবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ রান।
চতুর্থ উইকেটে নায়াল ও’ব্রায়ানকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন ইনজুরি থেকে ফেরা জয়েস। গড়ে তোলেন ৫৫ রানের জুটি। তবে এরপরই বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের বলে তামিম ইকবালের চমৎকার ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে জীবন পাওয়া নিয়াল ও’ব্রায়ান।
Advertisement
এদিকে চোট কাটিয়ে ফিরে বিপর্যয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়েস। নিজেও পৌঁছে গিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি। তবে ব্যক্তিগত ৪৬ রান করে অভিষিক্ত সানজামুলের বল লং অন দিয়ে উড়াতে মারতে গেলে তামিমের হাতে ধরা পড়েন। আর প্রথম উইকেটের দেখা পান সানজামুল। এরপর কেভিন ও’ব্রায়েনকে মোসাদ্দেক হোসেনের চমৎকার ক্যাচে পরিণত করেন মোস্তাফিজ। শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান গ্যারি উইলসনকেও ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান।
তবে অষ্টম উইকেটে বেরি ম্যাককার্থিকে সঙ্গে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়ে দুইশ`র দিকে এগিয়ে যেতে থাকে জর্জ ডকরেল। এ সময় আবার জুটি ভাঙেন সানজামুল। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ব্যারি ম্যাকার্থিকে। এরপর একই ওভারে জর্জ ডকরেল ও পেটার চেসকে মুশফিকের তালুবন্দি করেন মাশরাফি। আর আইরিশদের ইনিংস শেষ হয় ১৮১ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে শুরুটা ভালোই করেন তামিম। দুই জনের জুটি থেকে আসে ৯৫ রান। তামিমও এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাফ সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু হঠাৎ মনঃসংযোগ হারিয়ে কেভিন ও’ব্রায়েনের গুড লেংথ বলে উইকেটরক্ষক নিয়াল ও’ব্রায়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে সিরিজে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। দুই জনে মিলে দ্রুত রান তুলে এগিয়ে যান জয়ের দিকে। তবে দ্রুত ম্যাচ করতে গিয়ে ফিরে যান সাব্বির। আগের দুই ম্যাচে শূন্য ও ১ রানে ফেরা সাব্বির এ ম্যাচের করেন ৩৫ রান। বাকিটুকু মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয় এনে দেয়া সৌম্য ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
Advertisement
এমআর/এমএস