সালমান খানের পর এবার বুঝি আমির খানের পালা! সমাজ ও রাজনীতি সচেতন বলে খ্যাতি পাওয়া আমির খান একটি অনলাইন শপিং কোম্পানির বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন। ‘ ইয়ে ডিল ভি আজিব হোতি হ্যায়’… এই কথা বলেই ‘দিল কা ডিল’-এর সওদার প্রচার করেন তিনি৷ কিন্তু সেই অনলাইন শপিং কোম্পানির বিরুদ্ধেই আছে প্রেসক্রিসশন ছাড়া ওষুধ বিক্রির অভিযোগ৷ বিজ্ঞাপনে এই কোম্পানিকে প্রমোট করা এক অর্থে এই অনলাইন কোম্পানির এ ধরণের আইনবিরুদ্ধ কাজেরও তো প্রচারণা৷ সম্প্রতি স্ন্যাপডিলের বিজ্ঞাপনের নিরিখে এমনই বিপাকে পড়লেন আমির খান৷ আমির এর আগে ‘সত্যমেব জয়তে’ অনুষ্ঠানে চিকিৎসা জগতের অসাধুতা নিয়ে কথা বলেছেন৷ আবার তিনিই এমন এক অনলাইন শপিং কোম্পানিকে এনডর্স করলেন যারা প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রিতে অভিযুক্ত৷ বেশ কিছু কফ সিরাফ ও ট্যাবলেট বিক্রি করে স্ন্যাপডিল যেগুলো শুধু ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন থাকলেই বিক্রি করা যায়৷ ঘটনাটি নজরে আসে মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিষ্ট্রেশনের(এফডিএ)৷ ঘটনাটি নিয়ে বিশদে তদন্ত শুরু করে এফডিআই৷ কোন্ কোন্ সংস্থা স্ন্যাপডিলের এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, তার খোঁজ নেওয়া হয়৷ সংস্থার সিইওর নামে এইআইআর দায়ের করারও সিদ্ধান্ত নেয় এফডিআই৷ স্ন্যাপডিলের এই ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশও দিয়েছে এফডিআই৷ কিন্তু চমকে যাবার মতো বিষয়টি হলো, এই ঘটনা ঘটার পরও আমির খান বিজ্ঞাপন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি৷ সত্যমেব জয়তের মতো অনুষ্ঠানে যে আমির প্রায় ক্রুসেডারের ভূমিকা পালন করেন, ছবিতে সামাজিক বিষয় তুলে এনে বাজিমাৎ করা যার নিয়মিত কৌশল, তিনি যে কী করে এরকম একটি জিনিসকে সমর্থন করছেন, তা নিয়ে ধন্ধে সকলেই৷ আমিরের মতো জনপ্রিয় নায়ক যখন একটি সংস্থাকে প্রমোট করেন তখন তাঁর ইমেজই আসলে বিক্রি হয়৷ গর্হিত একটি কাজে আমিরের সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তাঁর ইমেজ নিয়েই৷ এর আগে বিজ্ঞাপনে বর্ণবৈষম্যেকে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ঐশ্বর্য রাইয়ের বিরুদ্ধে৷ তিনি জানান, ছবির ফটোশুটের সময় বিজ্ঞাপনটি এরকম ছিল না৷ পরে অবশ্য সে বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া হয়৷ আমির খানের তরফ থেকে স্ন্যাপডিলের ব্যাপারে এখনও এরকম কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি৷এসআরজে
Advertisement