আইন-আদালত

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রেখে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট হবে

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রেখে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হচ্ছে। এ আইনে বর্তমান ৫৭ ধারা নিয়ে যে অসঙ্গতি, যে অভিযোগ আছে তার সবই দূর হবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে নিম্ন আদালতের বিচারকদের ব্যবহারের জন্য মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারার কনফিউশন দূর করে নতুন আইন করা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৫৭ ধারায় যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল সেগুলো দূর করে, পরিষ্কার করে ৫৭ ধারাকে নতুন আঙ্গিকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে সংযোজন করা হবে। যাতে করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন না হয়, সে বিষয়টিও গুরুত্ব দেয়া হবে।

গত বছরের ২২ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৬ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি এখন ভোটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এরপর খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাঠানো হবে।

Advertisement

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘সেই মিটিংয়ে আমরা একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে আইসিটি অ্যাক্ট একটা বিশেষ কারণে করা হয়েছিল। আমরা সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে দেখেছি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করে একটা আইন দেশে প্রয়োজন। অনেকের মুখে শুনেছি দেশে কি এ রকম আইনের প্রয়োজন আছে?’

‘আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সবারই মত যে এ রকম একটা নতুন আইনের প্রয়োজন আছে।’

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন র্যা নসমওয়ারের ঝামেলাটা। সেই সব সাইবার হাইস্টস, সাইবার ক্রাইম, অ্যাটাক এইগুলোকে আমরা যদি কমব্যাট করতে চাই তবে এই আইনের (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) প্রয়োজন আছে।

‘আইনটা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় করবে। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ডিভিশনে আছে। সেজন্য আমরা সকল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা করেছি। আরেকটি সভা আগামী মাসে হবে। তারপর স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সভা হবে। এইসব সভা করার পরই এটার একটা রূপ দেয়ার পর মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে।’

Advertisement

এমইউএইচ/এফএইচ/এমএমএ/ওআর/বিএ