খেলাধুলা

বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘দুঃসহ স্মৃতি’ ভুললেন বেনেট

নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে হামিশ বেনেটের ওয়ানডে অভিষেক ২০১০ সালে। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। ভেন্যু- মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিষাদের অভিষেকই হয়েছিল বেনেটের। তার অভিষেক সিরিজে বাংলাদেশের কাছে ৪-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল নিউজিল্যান্ড।

Advertisement

সিরিজটা ছিল পাঁচ ম্যাচের। বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে যায় একটি ম্যাচ। বাকি চারটি ম্যাচেই জয় পায় বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে সাকিব আল হাসানের দল জয় লাভ করে ৯ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। তৃতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে পরাজিত হয় নিউজিল্যান্ড।

চতুর্থ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নেমেছিল সফরকারী কিউইরা। দলে আনা হয় পরিবর্তন। একাদশে জায়গা পান হামিশ বেনেট। একাদশ বদলালেও বদলায়নি তাদের ভাগ্য। বেনেটের অভিষেক ম্যাচে নিউজিল্যান্ড পরাস্ত হয় ৯ রানে। ওই ম্যাচে কিউদের সেরা বোলার ছিলেন বেনেটই। ৮ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে পকেটে পুরেছিলেন ৩ উইকেট।

শেষটা ভালো করতে পারত ড্যানিয়েল ভেট্টরির দল। কিন্তু পারেনি। সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে ৩ রানে হেরে বাংলাওয়াশ হয় নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচে হামিশ বেনেট কোনো উইকেটেরই দেখা পাননি। ৮ ওভারে একটি মেডেনসহ খরচ করেন ২৯ রান।

Advertisement

৭ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘দুঃসহ স্মৃতি’ ভুললেন বেনেট। ত্রিদেশীয় সিরিজে। ডাবলিনে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে কিউইরা। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৭.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় টম লাথামের দল।

এছাড়া তিন বছর পর নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে দলে ফিরেছেন বেনেট। ফিরেই পেলেন জ্বয়ের স্বাদ। বল হাতে কিউইদের সেরা পারফর্মার তো তিনিই। ১০ ওভারে একটি মেডেনসহ ৩১ রান দিয়ে ঝুলিতে জমা করেছেন ৩ উইকেট।

এমন জয়ে খুশি হওয়ারই কথা বেনেটের। হলেনও। তাইতো তার কণ্ঠে ঝরছে উচ্ছ্বাস, ‘সত্যি বলতে কি, খুবই ভালো লাগছে। ২০১৪ সালে হ্যামিল্টনে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলাম। এরপর আবারও সুযোগ পাব; তা ভাবিনি। কিন্তু পেয়ে গেলাম। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তো দারুণই। তাদের কাছে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিলাম আমরা।’

এনইউ/জেআইএম

Advertisement