আন্তর্জাতিক

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে যাদবের ফাঁসি নয় : আন্তর্জাতিক আদালত

ভারতীয় `গুপ্তচর’ কুলভূষণ যাদবের মামলার বিষয়ে চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত রাখতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দিয়েছে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে)।

Advertisement

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নির্দেশনার বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বিয়ষটি জানা গেছে।

নির্দেশনায় আইসিজে’র চেয়ারম্যান রনি আব্রাহাম বলেন, যাদবের ব্যাপারে চলমান মামলার চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে না। সর্বসম্মতিক্রমে ওই সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে।

এর আগে কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত করার জন্য আইসিজের শরণাপন্ন হয় ভারত।

Advertisement

সোমবার জরুরি ভিত্তিতে শুনানিতেও জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক আদালতের কাছে ভারতের আবেদন ছিল কুলভূষণের দণ্ডাদেশ ঠেকানোর।

২০১৬ সালের মার্চে পাকিস্তানে আটক হয়েছেন যাদব। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, যাদব ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্পাই হিসেবে কাজ করেন। গত মাসে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন পাকিস্তানের আদালত।

জম্মু ও কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলা, পাকিস্তানিদের হাতে দুই ভারতীয় সৈনিকের মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতে যায় দেশ দুটি।

ভারতের আশঙ্কা, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চূড়ান্ত রায়ের পূর্বেই পাকিস্তান যাদবের ফাঁসি কার্যকর করতে পারে। শুনানির সময় ভারত অভিযোগ করেছে, যাদবকে গ্রেফতারের অনেক দিন পার হয়ে গেলেও দিল্লিকে তা অবহিত করেনি পাকিস্তান।

Advertisement

যাদবকে তার অধিকার সম্পর্কে অবগত করতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। যাদবের ব্যাপারে পাকিস্তান জেনেভা কনভেনশনের বিধানও লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করে ভারত।

পাকিস্তান জাতীয় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে কি না, সে ব্যাপারেও জাতিসংঘের কাছে প্রশ্ন তুলেছে ভারত।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদব একজন নির্দোষ ভারতীয় নাগরিক। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানে আটক রয়েছেন তিনি। সঠিকভাবে তথ্য না জানানোর কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আর এখন তিনি ফাঁসির আসামি।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান বলছে, গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত যাদবের আইনি লড়াইয়ের সময় ছিল। পাকিস্তানের বেসামরিক নাগরিক ও সার্বভৌমত্বের ওপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে ভারত তাকে পাঠিয়েছিল।

এর আগে ১৯৯৯ সালে আইসিজে’র শরণাপন্ন হয় ভারত-পাকিস্তান।

কেএ/এমএমএ/জেআইএম