খেলাধুলা

জুনায়েদের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানকে হারাল ব্রাদার্স

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে দারুণ ফর্মেই রয়েছেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। আবাহনীর বিপক্ষে পেয়েছিলেন সেঞ্চুরির দেখা। ওই ম্যাচে তার দুর্দান্ত সেই ইনিংসটি (১১৪ রান) অবশ্য ভেস্তে যায়। আবাহনীর কাছে হেরে যায় জুনায়েদের দল ব্রাদার্স ইউনিয়ন (৩২ রানে)।

Advertisement

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আবাহনীর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেন জুনায়েদ। এবার আর আক্ষেপ নয়, স্বস্তিই পেয়েছেন তিনি। জুনায়েদের দল পেয়েছে বড় জয়। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে মোহামেডানকে ১১৯ রানে হারাল ব্রাদার্স।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না ব্রাদার্সের। ১১ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ওপেনার মিজানুর রহমান। মিজানকে নিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। সাজেদুল ইসলামের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে তুলে নিয়েছেন শতক। ১২৩ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ১১০ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন জুনায়েদ।

অধিনায়ক অলক কাপালি পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৪৮ বলে ৭টি চারে ৫১ রানের ইনিংস দলকে উপহার দেন জাতীয় দলের ‌‘সাবেক’ ক্রিকেটার। মোহাম্মদ রুবেল করেছেন ৩৬ রান। মানভিন্দর বিসলার ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ রান। সর্বসাকুল্যে ৪৯ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান তোলে ব্রাদার্স।

Advertisement

মোহামেডানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাজেদুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম ও এনামুল হক জুনিয়র। শামসুর রহমান ও কামরুল ইসলাম রাব্বি নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

২৭৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় মোহামেডানের সামনে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্রাদার্সের বোলারদের তোপে পড়ে মোহামেডান। শুরুটাও হয় বাজেভাবে। দলের স্কোরশিটে ১৬ রান যোগ হতেই শামসুর রহমান (১) বিদায় নেন নিহাদুজ্জামানের আঘাতে।

মোহামেডানের অপর ওপেনার সৈকত আলী খেলেছেন ৭০ রানের ইনিংস। তার ৮৬ বলের ইনিংসটা সমৃদ্ধ চারটি চার ও ৫টি ছক্কায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান অভিষেক মিত্রর। অধিনায়ক রাকিবুল হাসান করেন ১৭ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা দুই অঙ্কই ছুঁতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর তাতে ৩৫.৪ ওভারে মোহামেডানের ইনিংস থামে ১৪৭ রানে।

ব্রাদার্সের সেরা বোলার ইফতেখার সাজ্জাদ; ৫.৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে পকেটে পুরেছেন ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট লাভ করেছেন কাজী কামরুল ইসলাম ও নিহাদুজ্জামান।

Advertisement

এনইউ/জেআইএম