চেনা ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলের সেই ধার দেখা যাচ্ছে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে। প্রথম ম্যাচে পারেননি বৃষ্টির কারণে বল করতে। দ্বিতীয় ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে আগুণ ঝরাচ্ছেন যেন তিনি। লুক রনকিকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দিয়েছিলেন তিনি। এবার তিনি আবারও বাংলাদেশকে খেলায় ফেরালেন রস টেলরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে।
Advertisement
৩১তম ওভারে বল করতে এসে প্রথম দুই বলেই পরাস্ত করেছেন রস টেলরকে। তৃতীয় বলে দারুণ লেন্থে ডেলিভারি দিলেন মোস্তাফিজ। আবারও পরাস্ত টেলর। এবার জোরালো আবেদন। তাতেই সাড়া দিয়ে দিলেন আম্পায়ার। পড়লো কিউইদের চতুর্থ উইকেট। ৪০ বলে ২৫ রান করে আউট হলেন টেলর।
এ রিপোর্ট লেখার সময় নিউজিল্যান্ডের রান ৩১.৫ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫১। ২১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন নেইল ব্রুম। তার সঙ্গী জিমি নিশাম রয়েছেন ২ রানে। জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে এখনও করতে হবে ১০৮ রান। হাতে আছে ১৮ ওভার।
এর আগে দারুণ এক ডেলিভারিতে রুবেল মনে করালেন বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা সেই দুটি ডেলিভারিকে। যে দুটি সবার চোখে ভাসার কথা। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইয়র্কারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড আর জেমস অ্যান্ডারসনের উইকেট। সেভাবে হয়তো স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেননি, তবে তেমনই একটি আনপ্লেবল ডেলিভারি দিলেন রুবেল হোসেন। ডাবলিনের ক্লোনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথামকে অসাধারণ ডেলিভারিতে সাজ ঘরে ফেরালেন বাংলাদেশের পেসার রুবেল।
Advertisement
৬৪ বলে ৫৪ রান করে ফেলেছিলেন টম ল্যাথাম। ইনিংস ওপেন রকতে নেমে এক প্রান্তে দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করে যাচ্ছিলেন তিনি। লুক রনকি আর জর্জ ওয়ার্কার আউট হয়ে গেলেও কিউইদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ২১তম ওভারের তৃতীয় বলটিতে এমন ডেলিভারি দিলেন রুবেল, যেটা বুঝতেই পারেননি ল্যাথাম। ব্যাটের ভেতরের কানায় লাগিয়ে দিলেন। ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে গেলো উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে।
এর আগে ডাবলিনের ক্লোনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে ২৫৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে শুরু থেকেই নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরার অব্যাহত চেষ্টা ছিল বাংলাদেশ দলের বোলারদের। অব্যাহত চাপের মুখে অবশেষে সপ্তম ওভারে এসে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। কিউই দলের ওপেনার লুক রনকিকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে।
বল করতে এসে দুই কিউই ওপেনারকে কাটার, স্লোয়ার দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন মোস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত নিজের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে এসে সফল হলেন। দারুণ এক স্লোয়ার দিলেন মোস্তাফিজ। বুঝতে না পেরে ব্যাট পেতে দেন লুক রনকি। ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে বল হাওয়ায় ভেসে ওঠে। মিড অফে দাঁড়িয়ে থেকেই ক্যাচটি তালুবন্দি করে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
আউট হওয়ার আগে মোটামুটি বিধ্বংসী হয়ে উঠছিলেন রনকি। ২৭ বলে খেলেন ২৭ রানের ইনিংস। চারটি বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন একটি ছক্কার মার। টম ল্যাথামকে নিয়ে গড়েন ৩৯ রানের জুটি। এরপর সাব্বিরের দুর্দান্ত এক থ্রুতে রান আউটে কাটা পড়েন জর্জ ওয়ার্কার। কিউই এই ব্যাটসম্যান করেছেন ১৭ রান।
Advertisement
আইএইচএস/জেআইএম