নিজেকে সুন্দর রাখতে চান সবাই। থাকতে চান পরিপাটি। সুন্দর আর পরিপাটি থাকতে চাইলে নিতে হবে ত্বকের যত্ন। নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলে ত্বকের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়ে। নয়তো যত্নের চেয়ে অযত্নই বেশি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই চলুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে কোন বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি-
Advertisement
আপনার হাতে যদি ময়লা থাকে তবে মুখেও সেই ময়লা লেগে থাকবে। ত্বক পরিষ্কার হওয়া তো দূরের কথা, তাতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই সবার আগে দরকার হাত ভালো করে জীবাণুমুক্ত করা।
ত্বক পরিষ্কার রাখতে একবার নয়, সারাদিনে বেশ কয়েকবার মুখ পরিষ্কার করে নিন। তাতে ত্বকের লোমকূপগুলো পরিষ্কার থাকবে। কোনোরকম ব্রণ বা ফুসকুড়ির ভয় থাকবে না।
সাবানের মধ্যে থাকা রাসায়নিক দ্রব্য ত্বকের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। সাবানের ব্যবহারে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, হারাতে পারে উজ্জ্বলতা। তাই ত্বক পরিষ্কার করার জন্য সাবানের বদলে বেছে নিন ফেসওয়াশ।
Advertisement
ফেসওয়াশ কেনার আগে আপনার ত্বকের ধরন জেনে নিন। অয়েলি ত্বকের জন্য এমন ক্লিনজার প্রয়োজন যা ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলেভাব দূর করবে। অন্যদিকে রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকের জন্য যত্ন সহকারে ফেসওয়াশ বেছে নিতে হবে।
ত্বকের দরকার ডিপ ক্লিনজিং। ক্লিনজার ব্যবহারে ত্বকের লোমকূপগুলো খুলে যায়, ভিতরে জমা সব ময়লা বেরিয়ে আসে সহজে। তাই সারাদিনের দৌড়ঝাঁপের পরও নিজের জন্য সময় বের করে নিন। সারাদিনে অন্তত একবার ক্লিনজার লাগিয়ে নিন। কয়েক মিনিটের এই ট্রিটমেন্ট ভালো ফল দেবে।
ফেসওয়াশ আর ময়েশ্চারাইজার একে অপরের পরিপূরক। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর ত্বকের দরকার ময়েশ্চারাইজার। নয়তো ত্বকে শুষ্কভাব দেখা দিতে পারে। তাই যতবার মুখ পরিষ্কার করুন না কেন, ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগানো দরকার।
মুখের চামড়া নরম ও সেন্সিটিভ হয়। তাই ত্বক পরিষ্কার করতে বেশি ঘষাঘষি এড়িয়ে চলুন। আলতো করে ত্বক পরিষ্কার করে নিন।
Advertisement
এইচএন/এমএস