আইন-আদালত

বনানীর ধর্ষণ : দুই তরুণীকে নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ

বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার দুই বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুই তরুণীর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা গুলশান থানাকে এ নির্দেশ দেন। বুধবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

Advertisement

এর আগে দুই তরুণীর আইনজীবী ‘রাজধানী মানবাধিকার সংস্থা’র যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ নাজমুল হুদা নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলা দায়েরের পর থেকে দুই তরুণী ও তাদের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এখন তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তাদের নিরাপত্তা খুবই প্রয়োজন।

তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে গুলশান থানার পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) আবু বক্কর সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, ওই দুই তরুণীকে আগে থেকেই পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। তাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য নারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি পুরুষ পুলিশ সদস্যরাও কাজ করছেন।

তিনি আরো বলেন, আদালতের নির্দেশনা আমরা এখনও পাইনি। নির্দেশনা পেলে নিরাপত্তা আরও জোরদার করব।

Advertisement

এর আগে মঙ্গলবার এ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারদিন এবং তার দেহরক্ষী রহমতের (আবুল কালাম আজাদ) বিরুদ্ধে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সোমবার রাজধানীর নবাবপুর রোডের ইব্রাহীম হোটেল থেকে বিল্লালকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। একইদিন গুলশান থেকে মামলার অপর আসামি সাফাতের দেহরক্ষী রহমতকেও গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলার মূল আসামি সাফাত ও তিন নম্বর আসামি সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাফাতকে ছয়দিন ও সাদমানকে পাঁচদিনের রিমান্ড প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাতের জন্মদিনে যোগ দিতে গিয়ে অপরাপর বন্ধুদের সহায়তায় ধর্ষণের শিকার হন ওই দুই তরুণী। ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন দুই তরুণী।

Advertisement

এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ (রহমত)।

জেএ/এসএইচএস/জেআইএম