রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে যে তথ্য দিচ্ছি তা বিজ্ঞানভিত্তিক। এ নিয়ে আমরা কোনো রাজনীতি করছি না। রামপাল নিয়ে সরকার তথ্যগত ধোঁকাবাজি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
Advertisement
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কয়লার ছাই অপসারণে সম্ভাব্য বিপদাপন্ন পরিবেশ নিরূপণ গবেষণা প্রতিবেদন’ প্রকাশ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করা হয়। সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এ সময় সংগঠনের আহ্বায়ক সুলতানা কামাল বলেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কয়লার ফ্লাস ছাই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এ ক্ষতি আজকেই হবে তা বলছি না। দীর্ঘ সময়ের পর আমরা এটা বুঝতে পারব।
সংবাদ সম্মেলনে আমেরিকার পরিবেশ বিজ্ঞানী এ. ডেনিস লেমলির একটি গবেষণাপত্র তুলে ধরেন তিনি। ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়, প্রস্তাবিত রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ৬০ বছরে ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ৩৮ মিলিয়ন টন ছাই উৎপাদন করবে। এ ছাইয়ের একটি অংশ কনক্রিট ও ইট তৈরিতে ব্যবহার হবে। বাকি ছাইতে বর্জ্য রাখার ১২টি পুকুর দ্রুত পূর্ণ হয়ে যাবে। কয়লার ছাই অপসারণের পরিকল্পনা মাছ ও বন্যপ্রাণী এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জনসম্পদকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলবে।
Advertisement
গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়, এ ছাই থেকে নির্গত সেলিনিয়াম নামক বিষাক্ত তেজস্ক্রিয়তায় পানি দূষিত হবে, যা জলজ খাদ্যচক্রের জন্য বিষাক্ত ঘনত্ব তৈরি করতে পারে। ফলে মাছে নানা ধরনের রোগ দেখা দেয় ও বিকৃতি নিয়ে জন্ম নেয়। কোনো গর্ভবতী মা যদি এ মাছ খায়, তাহলে সন্তানও নানা বিকৃতি নিয়ে জন্মাতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, মোহম্মাদ আজিজ, ড. মতিন প্রমুখ।
এএস/এমএমজেড/ওআর/এমএস
Advertisement