জাতীয়

আমাদের কোনো অবৈধ স্বর্ণ নেই : দিলদার

বনানীর হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় বিতর্কিত আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদ বলেছেন, ‘৪০ বছর ধরে সততার সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। কোনো অবৈধ জিনিস (স্বর্ণ-হীরা) আমাদের দোকানে নাই।’

Advertisement

বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।

আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দার অধিকার রয়েছে আমাদের দোকান সার্চ করার। তারা আমাদের স্বর্ণ ও ডায়মন্ড জব্দ করেছে। আমরা পেপার্স শো করব। সময় নিয়েছি।’

‘একই সঙ্গে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব,’ যোগ করেন তিনি।

Advertisement

আপন জুয়েলার্সের স্বর্ণের উৎস কি? বিক্রির হিসাব মিললেও আমদানি স্বর্ণের কোনো কাগজপত্র বা হিসাব নেই কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে দিলদার আহমেদ বলেন, ‘এটা আমাদের বৈধ ব্যবসা। আমাকে যদি ডার্টি মানি ও স্বর্ণ চোরাচালানের জন্য গ্রেফতার করা হয়, তাহলে কোনো স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাইরে থাকবে না। সবাইকে জেলে যেতে হবে।’

‘আমি যেভাবে ব্যবসা করছি, সারা বাংলাদেশে সেভাবে ব্যবসা চলছে। এরপরও যদি আমার স্বর্ণের দোকান বন্ধ করা হয় তবে সারাদেশের সকল দোকান বন্ধ করে দিতে হবে।’

অভিযানে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে কেউ কী আর কাগজপত্র দেখাতে পারে? গত ৫ বছর ধরে কোনো স্বর্ণ আমদানি নেই। একটা ব্যবসা চললে তার নীতিমালা থাকা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা কোনো নীতিমালা করতে পারিনি।’

ক্রেতাদের অর্ডারের স্বর্ণ ও আমদানি করা স্বর্ণের কী হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে আপন জুয়েলার্সের সত্ত্বাধিকারী বলেন, জবাবদিহিতা থাকা উচিত। আমরা এ বিষয়টি শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা বিষয়টি আমলে নিয়েছেন।

Advertisement

‘আমরাও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি, কথা হয়েছে জুয়েলারি সমিতির সঙ্গেও। সবার সঙ্গে কথা বলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো,’ যোগ করেন তিনি।

সম্প্রতি বনানীর হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে দিলদার আহমেদের ছেলেসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এরপর ছেলের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন আপন জুয়েলার্সের এই মালিক।

এ ঘটনার পর গত ১৪ মে রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের সব ক’টি শাখায় অভিযান চালায় শু্ল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এ সময় বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও হীরার অলঙ্কার জব্দ করা হয়। তবে এসব অলঙ্কারের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ।

আর এসব  অলঙ্কার জব্দের দু’দিন পর দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের ডেকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ।

জেইউ/এমএমএ/এমএস