‘বাবা ... আমাকে বাঁচানোর জন্য কিছু কর’-ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য টাকা চেয়ে ১৩ বছরের এক মেয়ে তার বাবার কাছে হোয়াটস অ্যাপে দেয়া ভিডিওতে এভাবেই আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু ক্যান্সারের কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে চলে যায় ছোট্ট সাই শ্রী।
Advertisement
রোববার অন্ধ্র প্রদেশের বিজয়ওয়াডায় মর্মান্তিক এ ঘটনার পর হোয়াটস অ্যাপের ওই ভিডিওটি অনলাইনে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার দর্শক বাকরুদ্ধ হয়ে মেয়েটির হৃদয় বিদারক সেই আকুতি শুনেছেন।
আট বছর আগে সাইয়ের মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তারপর থেকে মায়ের সঙ্গেই থাকতো সে। ওই ভিডিওতে বাবা শেঠি শিবকুমারের কাছে তার নামে থাকা বাড়িটি বিক্রি করে চিকিৎসার খরচ জোগাড়ের দাবি করেছিল সে। তার মা ওই বাড়িটি বিক্রির চেষ্টা করলেও বাবা শেঠি তাতে বাধা দেন। এক রাজনীতিবিদের সহায়তায় তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শেঠির বিরুদ্ধে।
গত বছরের আগস্টে সাইয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা তার মাকে জানিয়েছিলেন, সাইকে বাঁচানোরে একমাত্র উপায় বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট।
Advertisement
ভিডিওতে তেলেগু ভাষায় কথা বলে সাই তার ফুলে যাওয়া হাত, পা দেখিয়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণার কথা জানান। বাবার উদ্দেশে বলেন, ‘বাবা তুমি বলেছ তোমার কাছে টাকা নেই। আমাদের তো বাড়িটা আছে। দয়া করে ওই বাড়ি বিক্রি করে আমার চিকিৎসার খরচ দাও বাবা। তা না হলে তারা (চিকিৎসকরা) বলেছে, আমি বেশিদিন বাঁচব না।’
এ মাসে আমি স্কুলে যেতে পারিনি। আমি বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে চাই। আমি স্কুলে যেতে চাই। পরীক্ষা দিতে চাই। তারপর আমি একজন চিকিৎসক হব।
মানবাধিকার কর্মীর অভিযোগের পর অন্ধ্র প্রদেশের মানবাধিকার কমিশন শিবকুমার শেঠির ব্যাপারে তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছে। একই শহরের বাসিন্দা শিবকুমার তার মেয়েকে অবহেলা করেছে বলে অভিযোগ করেন ওই মানবাধিকার কর্মী।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও শিবকুমার তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য অর্থ ব্যয় করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সাইয়ের মা বলেন, চিকিৎসার জন্য ৩০ লাখ টাকা খরচ করেছেন তিনি। কিন্তু সাইয়ের যে ধরনের ক্যান্সার ছিল তা ওই চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
Advertisement
সূত্র : এনডিটিভি।
কেএ/এসআই্এস/এমএস