জাতীয়

পুলিশ সদস্যের প্রতারণায় তরুণীর আত্মহত্যা

রাজধানীর রমনা থানার এক পুলিশ সদস্য প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ের পর তালাক দেয়ায় আত্মহত্যা করেছেন মাদ্রাসার এক ছাত্রী। বুধবার রাতে মগবাজারের বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে ওই ছাত্রী।কেয়ার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ইনচার্জ মোজাম্মেল হক।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর নাম রহিমুন আক্তার কেয়া (২০)। বরিশালের উজিরপুরের উত্তর বড়কোঠার মোবারক আলী বেপারির মেয়ে কেয়া।উজিরপুরের হস্তিমুণ্ড মহিলা মাদ্রাসায় ফাজিলে অধ্যয়নকালে রমনা থানার কনস্টেবল আশিকুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে কেয়া। মগবাজারের ৪৫৯ গ্রিনওয়ের চতুর্থ তলার বড়বোনের বাসায় থাকতেন কেয়া।কেয়ার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে কেয়াকে বাসায় রেখে ডাক্তারের কাছে যান বড়বোন। বাসায় ফিরে দেখেন ঘরের দরজা লাগানো।অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুললে প্রতিবেশিদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যানে কেয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তারা।বড় ভাই মাসুম বিল্লাহ জানান, এক বছর আগে কেয়া বরিশাল উজিরপুরের হস্তিমুণ্ড মহিলা মাদ্রাসায় ফাজিলে পড়ত। মাদ্রাসায় পড়াকালীন সময়ে পুলিশ কনস্টেবল আশিকুর রহমানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে কেয়ার। বর্তমানে আশিক রংপুরে কর্মরত।পরে আশিক তার বাড়ির কাউকে না জানিয়ে কেয়াকে বিয়ে করেন। কিছুদিন আগে কেয়া জানতে পারেন আশিক পূর্ববিবাহিত এবং দেশের বাড়িতে তার বউ আছে। এর মধ্যে আশিকের প্রথম বউ তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পারে।কয়েকদিন আগে কেয়া পরিবারকে জানায়, আশিক কৌশলে কেয়ার কাছ থেকে একটি তালাক নামায় সই নেয়। কেয়া আশিকের প্রতারণার কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ ভাই মাসুমের। এব্যাপারে ওই পুলিশ সদস্য আশিকের সাথে যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয় নি।জেইউ/এআরএস/আরআই

Advertisement