এরই মধ্যে জানা হয়ে গেছে ক্লাবগুলো চাইলেই শুধু জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সুপার লিগ খেলা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ক্লাব কর্তার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, ক্লাবগুলো মাশরাফি-তামিম-রিয়াদদের জন্য অপেক্ষা করবে না। তার বদলে বরং বিদেশি ক্রিকেটারের কোটা বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে।
Advertisement
যেহেতু জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা থাকবেন না, তাই সুপার লিগে ওঠা দলগুলো একজনের বদলে দুজন বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করতেই পারে। তবে সেটাও করবে কিনা, সন্দেহ। তা নিয়েও আছে প্রশ্ন। তা নির্ভর করছে লিগ টেবিলের ওপর। এখন পর্যন্ত লিগ টেবিলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের একক প্রাধান্য। শতভাগ সাফল্যে সবার ওপরে মুমিনুল, এনামুল হক বিজয় ও জহুরুল হক অমি ও নাদিফ চৌধুরীর দল। আর আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংক তাদের চার পয়েন্ট পিছনে। মোহামেডান আরও দুই পয়েন্ট পিছিয়ে।
তবে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বলে বোঝা গেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স যদি সব ম্যাচ জিতে সুপার লিগ শুরু করে তাহলে তাদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলবে যে দলগুলো, তারা শক্তি বাড়ানোর জন্য দুজন বিদেশি খেলানোর প্রস্তাব আনতে পারে। আর যদি গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে থেকে সুপার লিগে যায়, তখন বাকি দলগুলো ধরেই নিবে, শক্তি বাড়িয়েও কোন লাভ হবে না। তখন আর বিদেশি ক্রিকেটারের কোটা বাড়ানোর প্রস্তাব আসবে না।
তবে হ্যা, জনপ্রিয় ও বোর্ডে ক্ষমতাধর আবাহনী-মোহামেডান বাকি দুই খেলায় জিতে আর গাজী গ্রুপ পরের দুই ম্যাচের অন্তত একটিতে হারে, তখন সিসিডিএম মিটিংয়ে বিদেশি ক্রিকেটার বাড়ানোর প্রস্তাব আসার সমূহ সম্ভাবনা আছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সুপার লিগের ছয় দলের চার ক্লাব সমর্থন করলেই তা সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত হবে।
Advertisement
অর্থাৎ, সুপার লিগে একজন না দুজন বিদেশি খেলবেন? তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তা জানতে প্রথম লিগ শেষ হওয়া অবধী অপেক্ষায় থাককেতই হবে। প্রথম পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের হালই বলে দেবে, সিসিডিএমের পরের সভায় বিদেশি কোটা ঠিক রাখার পক্ষে, না বাড়ানোর দাবি উঠবে, তা সময়ই বলে দিবে।
এআরবি/এমআর/জেআইএম