প্রবাস

বার্সেলোনায় বৈশাখী মেলা নিয়ে প্রবাসীদের দু’গ্রুপ মুখোমুখি

বার্সেলোনায় আগামী ২১ মে (রোববার) বৈশাখী মেলা উদযাপন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দুই গ্রুপ। এতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। একটি গ্রুপ মেলার বিরুদ্ধে সক্রিয় অবস্থান নেয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে এবারের বৈশাখী মেলা ঘিরে উৎসুক সাধারণ দর্শণার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

জানা গেছে অ্যাসোসিয়েশন কুলতুরাল ই হুমানিতেরিয়া দে বাংলাদেশ এন কাতালুনিয়া (বাংলাদেশ সমিতি) গত ৩ মার্চ কার্যকরী সভায় ২১ মে বৈশাখী মেলা আয়োজনের ঘোষণা দেয়। বার্সেলোনার প্লাসা মাকবায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

ওই ঘোষণার সপ্তাহখানেক পরে একটি গ্রুপ মেলার বিরুদ্ধে লিফলেট প্রচার শুরু করে। নিজেদের কোনো সাংগঠনিক পরিচয় প্রকাশ না করেই ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তি’ শিরোনামে বৈশাখী মেলাকে ‘অপসংস্কৃতি’ উল্লেখ করে তা বর্জনের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং প্রকাশ্যে মেলার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে শুরু করে।

সম্প্রতি গ্রুপটি প্রথমে বার্সেলোনায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটর সিনিয়র রামন পেদ্রোর কাছে বৈশাখী মেলা বন্ধের দাবি জানায়। পাশাপাশি গত সপ্তাহে ১৭ জনের একটি দল মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একই দাবি জানায়।

Advertisement

পরিস্থিতির জটিলতা পর্যবেক্ষণ করে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে মেলায় অংশগ্রহণে অনাগ্রহের কথা জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

মেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত করতে গত ১২ মে বার্সেলোনার স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে বাংলাদেশ সমিতি। এ সময় লিখিত বক্তব্যে বৈশাখী মেলা উদযাপনের পক্ষে তারা নিজেদের যুক্তি ও সার্বিক প্রস্তুতি উপস্থাপন করেন।

এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে মেলার বিরুদ্ধে অবস্থানকারী অন্তত ৭৫ জনের একটি দল গত ১৪ মে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মেলা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা করে। কমিউনিদাদ দে বাংলাদেশ এন কাতালুনিয়া নামে একটি সংগঠনের পক্ষে করা ওই সভায় যে কনো মূল্যে ২১ মের মেলা প্রতিরোধের ডাক দেয়া হয়।

তবে মেলা উদযাপন কমিটি জানিয়েছে, তাদের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় শিল্পীরা মেলায় পারফর্মেন্সের জন্য রিহার্সেল শুরু করেছেন। অন্যদিকে, মেলার বিপক্ষে অবস্থানকারীরা মেলা বন্ধে অটল রয়েছে বলে জানা গেছে।

Advertisement

এমন পরিস্থিতিতে মেলা সুষ্ঠুভাবে হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন বার্সেলোনায় বসবাসকারী সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এমএমজেড/এসআর/আরআইপি