হঠাৎ হঠাৎই বিষণ্নতা ঘিরে ধরছে আপনাকে? কিংবা কাজ করতে করতেই মনে হলো, ধুর, কিছুই ভালোলাগছে না! অথচ এমন হওয়ার কোনো কারণ নেই। অথবা খুব তুচ্ছ কারণেই মন খারাপ লাগছে। এসবের কারণ হিসেবে যে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা খাবারগুলোও দায়ী হতে পারে তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? আপনি হয়তো নিজ মনে খেয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু আপনার ভেতরে যে এর কারণেই ধীরে ধীরে বাসা বাঁধছে বিষণ্নতা, তা আপনি টেরও পাচ্ছেন না। কী সেই খাবার? চলুন জেনে নেই-
Advertisement
পুরি, শিঙাড়া, আলুর চপ, চিপস, ফ্রাই এগুলো মজা করে খান অনেকেই। আমাদের ধারণাই নেই যে, এই খাবারগুলো আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলে। ভাজাপোড়া খাবার শুধু ওজন বৃদ্ধিই করেনা বরং বিষণ্ণতাও সৃষ্টি করে।
ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি পেলে কর্টিসলের উৎপাদন ও বৃদ্ধি পায়। কর্টিসোলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও বৃদ্ধি পায়। ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এটি প্রজনন তন্ত্রের সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। কর্টিসলের মাত্রা অনেক বেশি হয়ে গেলে বন্ধ্যাত্ব ও গর্ভপাতের মত সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।
অনেকেই সকালের নাশতা ঠিকভাবে করেন না। এর ফলে ব্লাড সুগার কমে যায়। তখন মস্তিষ্কের এনার্জিও কমে যায়। ডিপ্রেশন থেকে বের হয়ে আসার জন্য মস্তিষ্কের কাজ পূর্ণ উদ্যমে হওয়া প্রয়োজন। তাই সকালে পুষ্টিকর নাশতা খাওয়া উচিৎ। তাহলে আপনার শরীর ও মন আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে।
Advertisement
মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়া শরীরের জন্য খারাপ এটা আমরা সবাই জানি। শারীরিক অনেকগুলো কাজের সাথেই সেরেটোনিন জড়িত যেমন- ঘুম চক্র, ব্যথা নিয়ন্ত্রণ, হজম প্রক্রিয়া ইত্যাদি। সেরেটোনিনের কম মাত্রা ইমিউন ফাংশনকেও কমিয়ে দেয়।
দুপুরে খাওয়ার পরের ক্লান্তি দূর করার জন্য এককাপ কফি পান করেন অনেকেই। দুর্ভাগ্যবশত এটি আমাদের মস্তিষ্কের জন্য অনেক ক্ষতি করে।
নিয়মিত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে আপনার শরীর তার কাজ সম্পন্ন করার জন্য ক্যাফেইনের উপর নির্ভর হয়ে পড়ে। ইয়ং ইনভেস্টিগেটরস নামক জার্নালের মতে, ক্যাফেইন এর অনুপস্থিতিতে সেরেটোনিনের নিঃসরণ কমে যায়, ফলে উদ্বেগ, খিটখিটে মেজাজ এবং মনোযোগের অভাব দেখা দেয়।
অধিক মাত্রায় লবণ খাওয়ার ফলে ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি পায়। এর ফলে হৃদপিণ্ডের কাজ কঠিন হয়ে পড়ে।
Advertisement
এইচএন/আরআইপি