জাতীয়

দেশে একজন পর্যটক আসলে ১১ জনের কর্মসংস্থান হয়

বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, দেশে একজন পর্যটকের আগমন ঘটলে ১১ জনের সরাসরি কর্মসংস্থান হয়। পরোক্ষভাবে কাজ পান আরও ৩৩ জন।

Advertisement

অর্থাৎ ১ লাখ পর্যটকের আগমনের সঙ্গে ১১ লাখ কর্মসংস্থান হয়। কোনো স্থানে যদি ১০ লাখ নিয়মিত অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক টুরিস্ট থাকে সেখানে স্থায়ী কর্মসংস্থান হয় ১০ কোটি ১০ লাখ লোকের। সোমবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

চট্টগ্রামে ১৫ মে থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন বিষয়ক সেমিনার উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু উপস্থিত ছিলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ধর্মান্ধ ও উগ্রবাদীদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে পর্যটন শিল্প প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে। হলি আর্টিজানের মত ট্র্যাজেডি পেছনে ফেলে এবং তাবেলা  সিজার ও হোসিও  কুনি হত্যার  ক্ষত মুছে গত বছর নভেম্বরে কক্সবাজারে পাটার নিউ টুরিজম ফ্রন্টিয়ার্স ফোরাম সম্মেলন সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করেছি। এছাড়া কুয়াকাটায় সফল কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Advertisement

মেনন জানান, ব্যবসারত ১৪টি ফাইভ স্টার হোটেলের পাশাপাশি আরও বহু ইন্টারন্যাশনাল চেইন হোটেল  বাংলাদেশে আসার জন্য নিবন্ধিত হচ্ছে। দেশজুড়ে মনোরম হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট গড়ে উঠছে যা পর্যটন শিল্পে এক নিরন্তর নতুন মাত্রা যোগ করছে।

এই সেমিনারে পাহাড় সাগরবেষ্টিত চট্টগ্রামকে ব্র্যান্ডিং করা হবে। চট্টগ্রামের  পতেঙ্গাকে ঘিরে পর্যটনের একটি বড় পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে পর্যটন ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের উল্লস্ফন ঘটবে। পর্যটকদের আবাসিক সুবিধা দিতে একটি ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এসএম গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের সিইও ড. নাসির উদ্দিন, বিপিসির চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী  প্রমুখ।

এইচএস/ওআর/এমএস

Advertisement