খেলাধুলা

খেলাঘরকে নিয়ে খেলল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স

দুরন্ত ফর্মে ছিল আগেও। সেই ফর্মটাকে শুধু গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ধরে রেখেছে। এখনও পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে একটিতেও পরাজয়ের কালিমা নেই। সবগুলো ম্যাচেই জয় পেয়েছে নাদীফ চৌধুরীর দল। নাসির হোসেন ছিলেন নিয়মিত অধিনায়ক। ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলার জন্য আয়ারল্যান্ড চলে যাওয়ায় নাসিরের পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাদীফ চৌধুরী। তবে নাসির না থাকলেও ফর্মের চূড়ায় ঠিকই অবস্থান করছে দলটি।

Advertisement

নবম রাউন্ডে এসে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স পেয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যান সংস্থাকে। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে এই দলটিকে নিয়ে রীতিমত খেলল গাজী গ্রুপের ক্রিকেটাররা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা খেলাঘরকে নিয়ে খেললেন গাজীর বোলাররা। বৃষ্টির কারণে মাঠ ছিল ভেজা। খেলা শুরু করতে বিলম্ব হয়। যে কারণে কার্টেল ওভারে খেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং দু’দলের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল ৪৩ ওভার করে। এর মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে খেলাঘর।

জবাব দিতে নেমে খেললো ব্যাটসম্যানরা। জহুরুল ইসলাম আর মুমিনুল হককে দ্রুত হারালেও এনামুল হক বিজয়, শোহরাওয়ার্দী শুভ আর পারভেজ রসুলের ব্যাটিং তাণ্ডবে স্রেফ উড়ে গেছে খেলাঘর। শেষ পর্যন্ত গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জয় ৭ উইকেটে। মাত্র ৩৬.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গাজী।

জয়ের জন্য ১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তানভির ইসলামের তোপের মুখে পড়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। স্কোরবোর্ডে ১ রান উঠতেই আউট হয়ে যান জহুরুল ইসলাম অমি (০)। ১৫ বল খেলে সেই তানভিরের বলেই উইকেট বিলিয়ে দেন মুমিনুল হক সৌরভ।

Advertisement

২২ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর গাজীল হাল ধরেন এনামুল হক বিজয় আর সোহরাওয়ার্দি শুভ। দু’জন মিলে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। দলীয় ১০৮ রানের মাথায় এনামুল হক বিজয় ব্যক্তিগত ৬৭ রানে আউট হন। ৭৭ বলে ৪টি বাউন্ডারি এবং ৩ ছক্কায় এ রান করেন তিনি।

বিজয় আউট হয়ে গেলে পারভেজ রসুলকে নিয়ে বাকি কাজ সেরে নেন সোহরাওয়ার্দি শুভ। ৮৩ বলে ৫৮ রান করেন শুভ। ৪২ বলে পারভেজ রসুল অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে। তানভির ইসলাম একাই নেন ৩ উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপের বোলার আবু হায়দার রনির বোলিং তোপের মুখে পড়ে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সংস্থা। বড় ইনিংস কেউ খেলতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন অমিত মজুমদার। ৪১ রান করেন ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি। ২৮ রান এসেছে রাফসান আল মাহমুদের ব্যাট থেকে। ২৫ রান করে করেন নাজিমুদ্দিন। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে খেলাঘর।

আবু হায়দার রনি একাই নেন ৩৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট। পারভেজ রসুল নেন ২ উইকেট।

Advertisement

আইএইচএস/এমএস