জাতীয়

দুর্যোগ মোকাবেলায় ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার

দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতিতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা, সমন্বয়, নির্দেশনা এবং মনিটরিং করতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ‘ন্যাশনাল ইর্মাজেন্সি অপারেশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞাসহ সংশ্লিষ্ট সচিব ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।রিখটার স্কেল ৭ মাত্রা বা সম তীব্রতার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের চিহ্নিত ৭২ হাজার ভবন ভেঙ্গে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ভূমিকম্প সংঘটিত হলে টেলিফোন সংযোগ, পানি সরবরাহ, গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইনে বিপর্যয়সহ অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা রয়েছে। এরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম সমন্বয় দুরূহ হয়ে পড়বে।এসব বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে সভায় ‘ন্যাশনাল ইর্মাজেন্সি অপারেশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বিষয়গুলো অবহিত করেন।শামীম চৌধুরী জানান, ‘ন্যাশনাল ইর্মাজেন্সি অপারেশন সেন্টার’র মাধ্যমে ভূমিকম্পসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম অতি দ্রুত পরিচালনা করা সম্ভব হবে।উচ্চমাত্রা ভূমিকম্প সহনশীল একটি ভবনে এ অপারেশন সেন্টারটি করা হবে। প্রয়োজনীয় সময়ে যেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও এই ভবনে অবস্থান নিতে পারেন। এছাড়া এ কেন্দ্রের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তারও আহ্বান জানানো যাবে।‘ন্যাশনাল ইর্মাজেন্সি অপারেশন সেন্টার’ এ বাংলাদেশের কাঠামোগত এবং কাঠামোবিহীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের তথ্যাবলী স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ হবে। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত তথ্যের আর্কাইভ হিসেবেও ব্যবহার করা হবে এ প্রতিষ্ঠানকে।সভায় ন্যাশনাল ডিজাসটার ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এনডিএমআইএস) নামে একটি ওয়েবসাইট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করার বিষয়েও আলোচনা হয়।সভার শুরুতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালবাসীর জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয় এবং ত্রাণসামগ্রী প্রেরণের বিষয়েও আলোচনা হয়। নেপালের দুর্গত জনগণের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে এ সময় নেপালে চালের পাশাপাশি আলু ও তেল পাঠানোর কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।এইচএস/বিএ/আরআইপি

Advertisement