খেলাধুলা

গেইল-কোহলি নৈপুণ্যে শেষটা রাঙাল বেঙ্গালুরু

তারকাখচিত দলই গড়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু সে তুলনায় গোটা টুর্নামেন্টে তাদের পারফরম্যান্স ছিল বেমানানই। প্লে-অফ থেকে ছিটকে গেছে আগেই। গ্রুপপর্বে ১৪টি ম্যাচ খেলে বিরাট কোহলির দল জয় পেয়েছে মাত্র ৩টিতে। গেইল-কোহলি নৈপুণ্যে জয় দিয়েই শেষটা রাঙাল বেঙ্গালুরু।

Advertisement

নিজেদের শেষ ম্যাচ তথা আইপিএলের দশম আসরের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ১০ রানে হারিয়েছে গত মৌসুমের রানার্স-আপ দলটি। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় প্রথমে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে কোহলির দল সংগ্রহ করে ১৬১ রান। জবাবে ২০ ওভার খেললেও ১৫১ রানে থামে দিল্লির ইনিংস।

এবার ৮টি দল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে। সবার নিচের অবস্থান বেঙ্গালুরুর। ১৪ ম্যাচে একটি টাই হওয়ায় তাদের পুঁজি ৭ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স সংগ্রহ করেছে ২০ পয়েন্ট। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টের অর্জন ১৮।

১৬২ রানের লক্ষ্যমাত্রা। তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় দিল্লি। দলের স্কোরশিটে কোনো রান যোগ না হতেই সানজু স্যামসনকে হারিয়ে ফেলে। অপর ওপেনার করুন নায়ারও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ২৬ রান করতেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।

Advertisement

দিল্লির পক্ষে মারলন স্যামুয়েলসের ৪৫ রানের ইনিংসটিই সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংসটি খেলেছেন শ্রেয়াস আয়ার। মোহাম্মদ সামি করেছেন ২২ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। বেঙ্গালুরুর পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন হারশল প্যাটেল ও পবন নেগি।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন ক্রিস গেইল। গেইলের ঝড় থেমেছে ৪৮ রানে। বেঙ্গালুরুর এই ওপেনারের ৩৮ বলের ইনিংসটি সমৃদ্ধ তিনটি করে চার ও ছক্কায়। বেঙ্গালুরুর ইনিংসে সর্বোচ্চ অবদান কোহলির, ৫৮ রান। জহির খানের শিকার হওয়ার আগে ৪৫ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ভারতীয় এই সুপারস্টার।

সমান ১২ করে এসেছে কেদার যাদব ও শচীন বেবির ব্যাট থেকে। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন পবন নেগি। দিল্লির পক্ষে দুটি উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। একটি করে উইকেট গেছে জহির খান ও নাদিমের দখলে।

এনইউ/জেআইএম

Advertisement