বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নতির দিকে ধাবিত হলেও এখানে এখনও সবুজের সমারোহে চোখ জুড়িয়ে যায়। পাহাড়, সমুদ্রে এবং উপত্যকায় ঘেরা চট্টগ্রাম শহর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে প্রাচ্যের রাণী হিসেবে বিখ্যাত। আর সেই শহরের সকাল নামে মিঠে কড়া রোদের ছোয়ায়। পাহাড়ের ফাঁক নিয়ে উঁকি দিতে দিতে সূর্য আলো ছড়ায় চারদিকে। আর সেই সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন আগত পর্যটকরা।
Advertisement
আজ সোমবার থেকে বন্দর নগরীতে শুরু হচ্ছে পর্যটন বিষয়ক সচিব পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সেমিনার। হোটেল রেডিসন ব্লুতে তিনদিন ব্যাপী বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ইউএনডব্লিউটিও এর জয়েন্ট কমিশনের ২৯তম বৈঠকে বিশ্বের ৯টি দেশ থেকে মন্ত্রী, সচিব, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। আর এ উপলক্ষে এই নগরির বিভিন্ন রাস্তায় ব্যানার ফেস্টুন টানানো হয়েছে। এতে নগরীতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
রাজধানী ঢাকার মত চট্টগ্রামেরও ঘুম ভাঙে আলো ফুটার আগেই। সেই সময় থেকেই স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা রাস্তায় জগিং করেন। কেউ কেউ হাঁটেন। আবার কর্মব্যস্ত মানুষ কাজেও বের হয়। পাহাড়ি এলাকার বৃক্ষরাজির ফাঁক দিয়ে সূর্য উঁকি দিলে এক স্বর্গীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়। যা সবাইকে মুগ্ধ করে।
পাহাড়তলীর আবদুল মোবারক সকালে হাঁটতে বেরিয়েছেন। ব্র্যাক ব্যাংকের এই কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, দেশের সবগুলো মহানগরের মধ্যে চট্টগ্রাম তার সবচেয়ে প্রিয়। এজন্য এখানে তিনি ৯ বছর ধরে চাকরি করছেন।
Advertisement
তিনি জানান, এখানকার সূর্য অস্ত যাওয়া ও ওঠা প্রতিদিনই তিনি উপভোগে করেন।
স্বাস্থ্যকর শহর নামেও পরিচিতি আছে এ শহরের। আর সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে এ বন্দর নগরী।
চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ে সকালে কথা হয় চা বিক্রেতা মমিনের সঙ্গে। ঢাকা থেকে এসেছি জেনেই হেসে বলেন, ওই শহরে আপনারা ক্যামনে থাকেন। খালি জ্যাম আর জ্যাম। আমি দুই বছর ছিলাম। কিন্তু আর যাই নাই। দম নেয়া যায় না। চট্টগ্রাম অনেক ভাল।
চট্টগ্রামের বিখ্যাত হোটেল র্যাডিসন ব্লু এর কর্মকর্তারা জানান, বন্দর নগরীতে দিন দিন বিদেশিদের যাতায়াত বাড়ছে। এদের বেশির ভাগই ব্যবসার কাজে আসেন। আর অনেকে আসেন পর্যটক হিসেবে।
Advertisement
এইচএস/এআরএস/জেআইএম