অর্থনীতি

ইসলামী ব্যাংকের যাকাতের অর্থ যাবে প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডে

এখন থেকে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের যাকাতের অর্থ সরাসরি বণ্টন না করে তা প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিলের মধ্যমে বিতরণ করা হবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। একই সঙ্গে সভায় ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মো. মাহবুব আলমকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।শনিবার ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম বলেন, জামায়াতপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে চলছে ইসলামী ব্যাংক। তারা পরিচালনা পর্ষদের কোনো কথাই আমলে নিচ্ছেন না। ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের ও মধ্যম সারির কিছু কর্মকর্তা অসহযোগিতা করছেন। তিনি জানান, এরই মধ্যে ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নাজুক হয়ে পড়েছে, রীতিমতো হুমকি দেয়া হচ্ছে পর্ষদ সদস্যদেরও। এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে কথা বলতে গেলে পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরে যাওয়ারও হুমকি দেয়া হচ্ছে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক জানান, যাকাত ও ইফতার খাতে ব্যয়ের সিংহভাগ অর্থ যাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির পকেটে। ইফতারের খরচের অধিকাংশ অর্থও যেতো স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীর কাছে। ‘এবার রমজানে ইফতারের জন্য নির্ধারিত ১৩ কোটি টাকা কোথায় এবং কোন দলের কাছে যায় তা বিশেষ নজরে রাখা হবে। পর্ষদ সভায় শিক্ষাবৃত্তিতে ব্যয় ১৯ কোটি টাকা কাদের দেয়া হয়েছে, তাও  খতিয়ে দেখার ব্যাপারে পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।’জানুয়ারিতে পরিচালনা পর্ষদে বড় ধরনের পরিবর্তনের পরও এখনও জামায়াতপন্থীরাই ব্যাংক চালাচ্ছে অভিযোগ করে প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম বলেন, এমনকি তাদের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।  সম্প্রতি এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি। এমনকি ব্যাংক থেকে সরে যেতে হুমকি দেয়ার বিষয়টিও তখনই সামনে আসে। এ ঘটনায় এক পর্যায়ে পদত্যাগের কথা বলেন প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম। তবে শনিবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে শেষে তিনি জানিয়েছেন, আপাতত পদত্যাগ করছেন না। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ইসলামী ব্যাংকের  শীর্ষ পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল করা হয়।পুনর্গঠন করা হয় পরিচালনা পর্ষদও। এসআই/এমএমএ

Advertisement