জাতীয়

বনানীতে ধর্ষণের ঘটনায় বিলম্বে মামলার বিষয়ে আইজিপির ব্যাখ্যা

রাজধানীর বনানী থানায় দুই তরুণীর ধর্ষণ মামলায় দুদিন বিলম্বের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। শনিবার রাতে রাজধানীর ইস্কাটনে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব)নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ ব্যাখ্যা দেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিলম্বে মামলা নেয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে পুলিশের আইজিপি বলেন, ৪ মে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলেও ৬ মে কেন নিয়মিত মামলা রুজু হলো- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ অভিযোগ তুলেছেন, পুলিশ ধর্ষকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।পুলিশ মোটেই তা করেনি বরং আইনের বিধিবিধান মেনে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।‘এক মাস ছয়দিন আগে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বিলম্বে অভিযোগ দায়ের করা হয়।৪ মে রাত ৯টায় অভিযোগ করা হয়। মাঝখানে ৫ মে একদিন অভিযোগের সত্যতা রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্ত করেছে পুলিশ।’ তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইন কঠিন হওয়ায় তদন্ত চলাকালে কোনো আসামি গ্রেফতার হলে তাকে সহজে জামিন দেয়া হয় না। দেশব্যাপী এ আইনের যাচ্ছেতাই অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। ‘শত্রুতা ও মিথ্যা মামলা করে মানুষকে হয়রানির ঘটনাও ঘটে। শতকরা ৫০ শতাংশ মামলাও সত্যি হয় না। কাজেই এ মামলার যখন অভিযোগ আসে তখন পুলিশ ন্যায়বিচারের স্বার্থে ও কোনো নিরীহ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য প্রাথমিক তদন্তে সময় নিয়ে থাকে।’ পুলিশের আইজিপি শহীদুল হক বলেন,মামলা এক দেড়দিন দেরিতে হলেও অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু হয়ে যায়।প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পরপরই নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পরই আসামি আত্মগোপন করে পালিয়ে যায়। পুলিশের কাছে জাদু করে আসামি গ্রেফতারের কোনো সুযোগ নেই।১৬ কোটি মানুষের মধ্যে থেকে তাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে তবেই গ্রেফতার করতে হয়। এ মামলা দায়ের হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ মূল আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। ‘এটা পুলিশের সফলতা, দেশবাসীর উচিত পুলিশের প্রশংসা করা। এ সরকারের আমলে কোনো অপরাধী অপরাধ করে পার পেয়ে গেছে এমন ঘটনা ঘটেনি,’ যোগ করেন  বাংলাদেশ পুলিশের  সর্বোচ্চ কর্তা। তিনি বলেন,ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে, সংসদ সদস্যের ছেলেকে গ্রেফতার ও মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। প্রভাবশালী মন্ত্রীর মেয়ের জামাই র্যা বের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, ‘ফর নাথিং পুলিশ টাকা খেয়েছে, পুলিশ অমুক করেছে তমুক করেছে তা না লিখে সত্যি ঘটনা লিখুন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করুন। মনগড়া রিপোর্ট লিখে পুলিশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে গণমাধ্যম আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীকে যথেষ্ট সহায়তা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এমএমএ/

Advertisement