বিশ্বজুড়ে একযোগে বড় ধরনের সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে। প্রথমে ৭৪টি দেশের কথা বলা হলেও বিবিসির সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে বিশ্বের মোট ৯৯টি দেশ গতকাল রাতে সাইবার হামলায় শিকার হয়েছেন। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ থেকে শুরু করে এশিয়া পর্যন্ত অন্তত ৯৯টি দেশে এই হামলা করেছে হ্যাকাররা। খবর বিবিসি।
Advertisement
হ্যাকারদের ছড়িয়ে দেয়া ‘র্যানসমওয়্যার’ নামের ক্ষতিকর সফটওয়্যারে শুক্রবার বিশ্বজুড়ে এ সাইবার হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আক্রান্ত হয়েছে স্বাস্থ্য ও টেলিকমসহ বিভিন্ন খাতের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক।
বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার ‘র্যানসমওয়্যার’ সফটওয়্যারে ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় হ্যাকাররা। এতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, স্পেন, ইতালি, ভিয়েতনাম, তাইওয়ানসহ বিশ্বের বিভিন্নস্থানের কম্পিউটার ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ ডিপার্টমেন্টও ওই সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। হামলার তালিকায় আছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানও।
Advertisement
এ সময় হ্যাকাররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওয়েবসাইট অচল করে দিয়ে তিনশ থেকে ছয়শ মার্কিন ডলার দাবি করে। এদিকে এ বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসতে একযোগে কাজ শুরু করছেন অনেক প্রযুক্তি নিরাপত্তা গবেষক ও প্রতিষ্ঠান।
সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির মুখপাত্র জানান, এখন পর্যন্ত ৯৯টি দেশের কম্পিউটারে র্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি শনাক্ত করা গেছে। এই আক্রমণের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
অনেকেই তাদের আক্রান্ত কম্পিউটারের স্ক্রিনের ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে দিয়েছেন। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরনো ম্যালওয়্যার ওয়ানাক্রাই-এর নতুন কয়েকটি সংস্করণের মাধ্যমে এই সাইবার হামলা চালানো হয়েছে।
অ্যাভাস্টের বিশেষজ্ঞ ইয়াকুব রৌসতেক জানান, অনেক বড় হামলার ঘটনা এটা। এ ধরনের ম্যালওয়্যার এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে নেটওয়ার্কের সাহায্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
Advertisement
সাইবার হামলার ফলে অনেক হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা ছাড়া অন্য সেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে। রোগীদের সাক্ষাতের সূচিও বাতিল করা হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে।
কেএ/এআরএস/এমএস