মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের মোকাবিলায় ঘোষিত জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছে ব্রাজিল।
Advertisement
আগের বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের চেয়ে চলতি বছরের একই সময়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের হার ৯৫ শতাংশ কমে যাওয়ার পর ২০১৫ সালে জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিল দেশটি।
২০১৫ সালের নভেম্বরে জিকা নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল ব্রাজিল। খবর বিবিসির।
জিকা ভাইরাসে সংক্রমণের কারণে অপূর্ণাঙ্গ শিশু জন্ম নেয়। যার মধ্যে মাইকোসেফালি অন্যতম, যার কারণে শিশুর মাথার আকার অস্বাভাবিক ছোট হয় যা মস্তিষ্কের বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
Advertisement
জিকার প্রাদুর্ভাব ২০১৬ সালের অলিম্পিকের প্রস্তুতিতেও ব্রাজিলের জন্য হুমকির হয়ে এসেছিল।
প্রধানত মশাবাহিত হলেও যৌনমিলনের মাধ্যমেও ছড়িয়ে থাকে জিকা ভাইরাস।
এরআগে গত বছরের নভেম্বরে নিজেদের জারি করা আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত বছর এক লাখ ৭০ হাজার ৫৩৫ জন আক্রান্ত হলেও এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ৯১১ জন।
Advertisement
গত বছর আটজন মারা গেলেও চলতি বছরে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ব্রাজিলে কেউ মারা যাননি।
ব্রাজিল ছাড়াও বিশ্বের অন্তত ৩০টি দেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়েছিল।
১৯৪৭ সালে উগান্ডায় বানরের শরীরে প্রথম জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। মানব শরীরে এ ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ে ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়াতে। এরপর আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোতে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
কেএ/এনএফ/এমএস