রাজধানীর বনানীতে হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সিরাজগঞ্জের হাসান মোহাম্মদ হালিম নাঈম আশরাফ কাজীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পদ নিয়েও প্রতারণা করেছেন।
Advertisement
বগুড়া-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের নাম বদলে কুকীর্তি করার অভিযোগে একাধিকবার গণপিটুনির শিকার হন হালিম। সর্বশেষ ঢাকায় প্রতারক নাঈম আশরাফের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
কাজীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন গান্ধাইল ইউনিয়নের চৌরাস্তা গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় কারিগরি কলেজের শিক্ষক আব্দুল হালিম (কালো হালিম)।
অথচ এই ব্যক্তির নাম ও পদবি ব্যবহার করেই প্রতারক হাসান মোহাম্মদ হালিম (নাঈম আশরাফ) নিজেকে কাজিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে দেন।
Advertisement
আর ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমের ছেলে নাঈম আশরাফের নাম ব্যবহার করতেন।
আওয়ামী লীগ নেতার নাম ব্যবহার ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতির পদ ব্যবহার করেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন প্রতারক হাসান মোহাম্মদ হালিম।
এমন তথ্যই জানালেন কাজীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সেলিম রেজা। তিনি আরও বলেন, দলের সহ-সভাপতি পদতো দূরের কথা তাকে আমি চিনিই না। তার সঙ্গে কোনদিন দেখা বা সাক্ষাৎ হয়নি আমার। আমার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি আব্দুল হালিম নামে একজন সহ-সভাপতি রয়েছেন। তিনি স্থানীয় একটি কারিগরি কলেজের শিক্ষক। তিনি কালো হালিম হিসেবে পরিচিত।
তার বাড়ি গান্ধাইল ইউনিয়নের চৌরাস্তা গ্রামে। অথচ এই ভালো মানুষটির নাম ও পদবি ব্যবহার করেই রাতারাতি তিনি সহ-সভাপতি বনে গেছেন। আমরা এই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
Advertisement
এদিকে প্রতারক আব্দুল হালিমের চাচি সুফিয়া খাতুন বলেন, টেলিভিশন ও পত্রিকায় তার ছবি দেখে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে সে হালিম। তবে তার আরেক নাম নাঈম আশরাফ কিনা তা আমি জানি না।
সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ আল ইসলাম বলেন, এইচ.এম হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো নেতা নেই। হালিম মূলত তার অপকর্ম ও প্রতারণার কাজটি সহজ করতেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ ব্যবহার করেছেন।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এএম/জেআইএম