নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলা ‘স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে সময় চাওয়ার বিষয়ে উভয়পক্ষকে সতর্ক থাকতে বলেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ১৫ মে (সোমবার) পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিযুক্ত করার জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও মো. জাহাঙ্গী হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক রাজু এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) জহিরুল হক জহির।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের এ আলোচিত মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল আবেদন হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ছিল। এর আগে, বিজিপ্রেসে পেপারবুক প্রস্তুত করার পর গত ৭ মে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়। এরপর প্রধান বিচারপতি মামলার শুনানির জন্য এ বেঞ্চ নির্ধারণ করেন। প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি সোমবার নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার রায়ে প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যা বের বরখাস্ত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত।
ওই মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে বাকি নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ১২ জন পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতার ২৩ জনের মধ্যে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে এবং পাঁচজন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার- ১ ও ২- এ রাখা হয়েছে।
Advertisement
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার শুনানি শেষ করে গত ১৬ জানুয়ারি সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। বাকি নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেয়া হয়।
রায়ের পর গত ২২ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সাত খুম মামলার বিচারিক আদালতের রায় ও নথিপত্র সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছায়। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা কারাগারে আটক রয়েছেন তারা হাইকোর্টে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন দায়ের করেন। এছাড়া নিম্ন (বিচারিক) আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য নথি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপরই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা মামলাটি দ্রুত শুনানির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন।
এফএইচ/আরএস/এমএআর/জেআইএম
Advertisement