জাতীয়

৫৪ সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৬২৭ একর জমি পতিত

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত জমি চিহ্নিতকরণে সমীক্ষা পরিচালনা করছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

Advertisement

প্রাথমিকভাবে ৫৪টি সরকারি সরকারি শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ৬২৭ একর জমি অব্যবহৃত রয়েছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সরকারি শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অব্যবহৃত জমি বা স্থাপনা বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন বিষয়ক সভায় প্রাথমিকভাবে  এ জমি চিহ্নিত করা হয়। মঙ্গলবার বিডার সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় ৩৯টি সরকারি সরকারি শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মোট এক লাখ ৪৯ হাজার একর জমি সমীক্ষা করে  এক হাজার ৫১৬ একর জমি প্রাথমিকভাবে অব্যবহৃত বা উদ্বৃত্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

Advertisement

ওই ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন ১৪টি, খাদ্য ও চিনি শিল্প করপোরেশন ১০টি, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন নয়টি, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন চারটি ও বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসবের মধ্যে ১৮টি শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে সম্পূর্ণ চালু, তিনটি আংশিক চালু এবং অবশিষ্ট ১৮টি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া বিডায় ন্যস্তকৃত ১৫টি সরকারি শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ৩৬৪ একর জমি সমীক্ষা করে ১১০ একর জমি উদ্বৃত্ত্ব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ছয়টি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি (বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের তিনটি ও রেশম উন্নয়ন বোর্ডের দুইটি), পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের তিনটি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসবের মধ্যে দুইটি প্রতিষ্ঠান চালু ও ১৩টি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত জমি বা স্থাপনা বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের জন্য ব্যবহার সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা ২০১৬ চূড়ান্তকরণের নির্দেশনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে গত বছরের ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিডার প্রথম সভায় খসড়া নীতিমালাটি নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়।

নীতিমালাটি চূড়ান্ত করতে বিডা চলতি বছরের ১৩ মার্চ খসড়া নীতিমালাটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও সংস্থায় পাঠিয়ে মতামত চায়।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়েই এ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এর ফলে সরকারি শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অব্যবহৃত জমি বা স্থাপনা শিল্প বিনিয়োগ প্রসারের জন্য কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাবে।

গভর্নিং বোর্ডের পরবর্তী সভায় চূড়ান্ত খসড়া নীতিমালাটি উপস্থাপন করা যাবে বলেও জানান তিনি।

এসআই/এসআর/আরআইপি