ভারতে গুপ্তচর সন্দেহে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বাহিনীর (আইটিবিপিএফ) সদস্যরা। মঙ্গলবার দেশটির জাতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ভারত-চীন সীমান্তের লেপচা তল্লাশি চৌকির কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বাহিনী (আইটিবিপিএফ) এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের জন্য স্পিতি পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করেছে। ওই বাংলাদেশি বোকা হওয়ার ভান করে পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি মহারাষ্ট্রের থানে থেকে এসেছেন।
কিন্তু হিন্দি, ইংরেজি ও বাংলায় তার অনর্গল কথা বলার দক্ষতা দেখে পুলিশ বিস্মিত হয়। শেষ পর্যন্ত নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের মামলা করেছে পুলিশ।
লাহাউল স্পিতির পুলিশ সুপার রমন কুমার মিনা বলেন, ওই ব্যক্তির কাছে ভ্রমণের কোনো নথি, এলাকা পরিদর্শনের অনুমতি কিংবা পরিচয় প্রমাণের মতো কিছু পাওয়া যায়নি। তবে নিজেকে তিনি মোহাম্মদ মুস্তাফ হোসাইন বলে দাবি করেছেন। তার কাছ থেকে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
Advertisement
মুস্তাফের কাছ থেকে একটি মোবাইল উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছেন স্পিতির ওই পুলিশ সুপার। একই সঙ্গে তার কাছে ভাঙা একটি সিমকার্ড পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই মোবাইল বাংলাদেশে তৈরি। এছাড়া তার কাছ থেকে একটি নকশা, অল্প পরিমাণে আটা ও কয়েক বোতল টমেটো সস উদ্ধার করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৩, ১২৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে ১০ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। যদিও পুলিশের ধারণা এমনকি অভিযুক্ত নিজেও তাকে বাংলাদেশি হিসেবে দাবি করেছেন; তারপরও প্রয়োজনীয় নথির অভাবে তার পরিচয় যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না।
গত বছরের ডিসেম্বরে কুলু পুলিশ বেনজার শহরের একটি গির্জা থেকে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক সহকারীকে গ্রেফতার করে। লাহাউল স্পিতির এমএলএ রবি ঠাকুর সীমান্ত এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের কাছে বেশ কয়েকটি চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে সেখানে তিনি বিমান চলাচলের ব্যবস্থার দাবি করে আসছেন।
কেএ/এসআইএস/এমএস
Advertisement