তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের সুপার কম্পিউটার নেই। ইতোমধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে শিগগিরই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সুপার কম্পিউটার কেনা হবে।
Advertisement
মঙ্গলবার রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং কনটেস্ট-২০১৭ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পলক বলেন, দেশে নানা ধরনের তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা বেগবান করতে সুপার কম্পিউটার স্থাপনের ব্যাপারে কাজ করছি। এর ফলে গবেষণালব্ধ ফলাফল দেশেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে আজকে যারা প্রোগ্রামিংয়ে ভালো করছে তাদের জন্য কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, এই কম্পিউটার দিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ বিভিন্ন গবেষণার ডেটা অ্যানালাইসিস করা হবে। এটি কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে স্থাপন করা হবে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রয়োজন অনুযায়ী টার্মিনাল করা হবে।
Advertisement
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে নিয়ে কাজ করার বিকল্প নেই। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও সমান অবদান রয়েছে এবং আমরা চাই ২০৩০ সালের মধ্যে অন্য খাতের মতো তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও নারী এবং পুরুষের সমতা হবে।
তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে এখন প্রযুক্তি বিপ্লব চলছে। রোবট, মেশিন লার্নিং, বিগডাটা অ্যানালাইসিস, ক্লাউড কম্পিউটিং এসব বিষয় নিয়ে পুরো বিশ্বে একটা বিরাট পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।
সারাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বিষয়ে পলক বলেন, এ বছর সারাদেশে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। আগামী বছর আরও বাড়বে বলেও আশা করেন তিনি।
এর আগে সারাদেশের ৭৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১১৭টি দল প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে যার মধ্যে ১০২টি দল আজকের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এখান থেকে ১৫টি দলের মোট ৪৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য ১৭ থেকে ২০ মে ঢাকায় আবাসিক ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে।
Advertisement
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ এম ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিযোগিতার সহযোগী আয়োজক ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ আখতার, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী, আইসিটি বিভাগের উপসচিব মাহবুবা পান্না প্রমুখ।
এএস/জেএইচ/এএইচ/আরআইপি