জাতীয়

বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণ মামলার তদন্তভার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে

রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বন্ধুদের যোগসাজশে ধর্ষণের ঘটনায় দুই তরুণীর করা মামলার তিনদিন পর মঙ্গলবার এর তদন্তভার পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ন্যস্ত করা হয়েছে।

Advertisement

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ডিএমপি কমিশনারের আদেশে মামলার দায়িত্বভার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ন্যস্ত করা হয়েছে।

গত ৬ মে বনানী থানায় রুজু করা ধর্ষণ মামলাটির (মামলা নং-৮) তদন্ত করছিল ওই থানার পুলিশ। এর আগে গত ২৮ মার্চ বনানীর অভিজাত ওই হোটেলে ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর ছেলে সাফাত আহমেদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন দুই তরুণী। এ ঘটনায় ৪০ দিন পর গত ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। 

সাফাত ছাড়া মামলার অপর চার আসামি হলেন- তার বন্ধু সাদনান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়ি চালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আজাদ। 

Advertisement

এদিকে মামলার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নির্যাতনের শিকার দুই তরুণীর একজনের আশঙ্কা, মামলার আসামিরা প্রভাবশালী। তারা পালিয়ে বিদেশ চলে যেতে পারে।

ধর্ষণ মামলা নিতে পুলিশের সময়ক্ষেপণ ও তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনের তিনজনই প্রভাবশালী পরিবারের। অভিযুক্ত সাদমান সাকিফ রেগনাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হোসাইন জনির ছেলে। আর সাফাত আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের একজন দিলদার আহমেদের ছেলে।

নাঈম আশরাফ ই-মেকার্স বাংলাদেশের মালিক এবং একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে বলে দাবি করে নিজেকে। ক্ষমতাসীন দলের এক মন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে নাঈমের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছে একাধিক সূত্র।

Advertisement

জেইউ/এমএমএ/ওআর/এমএস