গণতন্ত্রের সুতিকাগার নামে পরিচিত ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন আগামী পরশু। ৮০০ বছর আগে অর্থাৎ ১২১৫ সালে ম্যাগনাকার্টা চুক্তির মধ্যদিয়ে যে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল দেশটিতে, গণতন্ত্রের এ ধারাবাহিকতা এখন বিশ্বব্যাপী অনুসরণ করা হচ্ছে। একদিন পরের এই নির্বাচন নিয়ে ব্রিটেনে চলছে এখন নানা হিসাব-নিকাশ। কে হচ্ছেন দেশটির পরবর্তী ব্রিটিশ শাসক? তবে নামকরা জরিপ সংস্থাগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানায় জরিপে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। প্রধান দুই দলের ব্যবধানও খুব কম।নির্বাচনী প্রচারে এবার প্রাধান্য পাচ্ছে অর্থনীতির সংকট কাটান, জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বা এনএইচএসকে টিকিয়ে রাখা, বাজেট ঘাটতি কমানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অভিবাসন কমান, ইউরোপের সঙ্গে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কি হবে - ইত্যাদি। কনজারভেটিভ পার্টি বলছে, তারা ব্রিটেনের অর্থনীতিকে সংকট থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। অন্যদিকে এড মিলিব্যান্ডের লেবার পার্টি বলছে, কনজারভেটিভ নীতির ফলে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বেড়েছে, জীবনযাত্রার মান নেমে গেছে। তাই সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন করতে হলে লেবার পার্টিকেই ভোট দিতে হবে।এছাড়া নির্বাচনে ইমিগ্রেশন এবার যথেষ্ট বড় ইস্যু, কারণ বড় সব দলই এ নিয়ে কথা বলছে। কনজারভেটিভ পার্টি এর আগের নির্বাচনের ইমিগ্রেশন লাখের কোটা থেকে হাজারের কোটায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আগের তুলনায় ইমিগ্রেশন বেড়েছে। আর লেবার পার্টি বলছে তারা যেভাবেই হোক ইমিগ্রেশন কমাবে। কিন্তু ব্রিটেনের নির্বাচনে মানুষ কাকে কান্ডারি নির্বাচিত করেন তার ফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। এএইচ/পিআর
Advertisement