রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আফরিদা আহমেদ (২০)। তার এ অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বজন ও সহপাঠীদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বন্ধু-বান্ধব, ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজনদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন আফরিদা। নানা স্মৃতির কথা স্মরণ করে তারা শোক জানাচ্ছেন।
Advertisement
আফরিদা আহমেদের স্বজন শাহ্ এম হালিম তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ‘আফরিদার মতো মিষ্টি হাসির মেয়ে আর দেখিনি। আশা করছি তার হাসি স্বর্গকে আরও মহিমান্বিত করবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গ্র্যাজুয়েশন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আফরিদা। গত নভেম্বরে আমার মা’কে দেখতে অ্যাপোলো হাসপাতালে এসেছিল। আফরিদা সুন্দরী ও দয়ালু হৃদয়ের মেয়ে ছিল। তার এভাবে চলে যাওয়ার পেছনে আল্লাহ্ নিশ্চয়ই ভালো কিছু লিখে রেখেছেন।’
আফরিদার সহপাঠী লামিমা তানজীম লাম তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কিছুদিন আগেও যার সঙ্গে ফাইজলামি করলাম আজ শুনলাম সে নেই। সড়ক দুর্ঘটনায় সে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। অশ্রুভরা চোখে পোস্টটি লিখছি। আমি সব সময় তার সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করতাম, কিন্তু তেমন সময় পেতাম না। এখন অনুতপ্ত লাগছে, কেন আফরিদার সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা হলো না। তোমাকে (আফরিদা) চিরকাল মিস করব।’
Advertisement
আফরিদার এই অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। একই সঙ্গে আফরিদার রুহের মাগফিরাত কামনা করেছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাইভেটকারে বাড়ি ফেরার সময় একটি মিনিবাস আফরিদার গাড়িতে ধাক্কা দেয়। পরে আহত অবস্থায় আফরিদাকে বসুন্ধরা অ্যাপোলা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আফরিদা আহমেদ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিয়ার লেক রিজিওনাল হাসপাতালে জন্ম নেয়া এ ‘মিষ্টি মেয়ে’র বাবা বেনজীর আহমেদ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফাউন্ডার ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।
আজ (মঙ্গলবার) বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে আফরিদার মরদেহ দাফন করা হবে বলে পারিবার সূত্রে জানা গেছে।
Advertisement
এআর/আরএস/এমএআর/পিআর