আখ খেতে কে না ভালোবাসে! মিষ্টি রসে ভরা এই আখের আছে নানা গুণ। জন্ডিস সারাতে আখের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আখের খোসা ছাড়িয়ে তারপর খেতে হয়। এটি অনেকের কাছেই কিছুটা কষ্টকর। তবে এর মিষ্টি রস সেই কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। চলুন জেনে নেই আখের আরো কিছু গুণ।
Advertisement
আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যা হজমে সহায়তা করে এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে।
আখের রসে ডায়েবেটিস চিনির চাইতেও কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর অন্যান্য যে কোনো আর্টিফিশিয়াল চিনির বিপরীতে।
আখের রস প্রাকৃতিক অ্যাল্কালাইন যা অ্যান্টিবায়োটিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং কিডনির সুস্থতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও আঁখের রস পানের অভ্যাস বুক জ্বালা পোড়া ধরণের সমস্যা এবং মুত্র নালীর ইনফেকশন প্রতিরোধ করে।
Advertisement
জার্নাল অফ ফাইটোকেমিস্ট্রি’তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায় আখের রসে বিদ্যমান ফ্লেভোনস দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি ও ছড়ানো প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। আখের রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোস্টেট ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
আখের রস পান করার অভ্যাস দেহে বিলুরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লিভারের সুস্থতায় কাজ করে। আর এ কারণেই অনেক আগে থেকেই জন্ডিসের আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে আখের রস পান করার প্রচলন রয়েছে।
পানি শূন্যতা এই গরমে খুবই স্বাভাবিক একটি সমস্যা যা নানা রোগ বয়ে নিয়ে আসে। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ও ম্যাংগানিজ সমৃদ্ধ এই আখের রস ইলেক্টোলাইট ও পানির শূন্যতা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
আখের রস দাঁতের ক্ষয় বা মাড়ির ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও আখের রস মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও বিশেষভাবে সহায়ক।
Advertisement
এইচএন/আরআইপি