আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক তামিম ইকবাল। কিছুদিন আগেও ছিলেন তিন ফরম্যাটেই সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক। তবে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের দখলটা নেন সাকিব। তামিমের শ্রেষ্ঠত্ব ছিল আরও এক জায়গায়। ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ (৫০ ওভারের ম্যাচ) ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক ছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগেই মোহামেডানের হয়ে ১৫৭ রানের ইনিংসটা খেলে গিয়েছিলেন তিনি।
Advertisement
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের হয়ে ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০ ওভারের ম্যাচে তামিমের ওই ১৫৭ রানের ইনিংসটাই সর্বোচ্চ। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তামিমের ১৫৪ রানের ইনিংসটাই ছিল সর্বোচ্চ; কিন্তু মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানেই তামিমের সেই রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিলেন ‘স্লো’ ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত রকিবুল হাসান। ১৩২ বলে খেললেন ১৯০ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস।
তামিম ১৫৭ রানের ইনিংসা খেলেছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক হিসেবে। রকিবুলও ১৯০ রানের ইনিংসটা খেললেন মোহামেডানের অধিনায়ক হিসেবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য জাতীয় দলের হয়ে বিদেশ সফরে যাওয়ার কারণে তামিমের পরিবর্তে মোহামেডানের অধিনায়ক এখন রকিবুল হাসানই।
মজার বিষয় হলো, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মালিক রকিবুল হাসানই। প্রথম শ্রেণিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম এবং একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরির মালিক রকিবুল। ২০০৭ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বরিশালের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে অপরাজিত ৩১৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
Advertisement
এবার তিনি লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে গেলেন এবং নিজেকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেলেন, যেটাকে খুব সহজে কেউ ছুঁতে পারবে কি না সন্দেহ। আরেকটু সময় কিংবা বল পেলে হয়তো ডাবল সেঞ্চুরিটা করে ফেলতে পারতেন তিনি; কিন্তু দলকে জেতানোর চিন্তা করতে গিয়ে শেষ ওভারে আউট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ১৩৮ বলে খেলা ১৯০ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন তিনি ১৭টি বাউন্ডারি আর ১০টি ছক্কায়।
বাংলাদেশের ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান চামারা কাপুগেদারার। তিনি খেলেছিলেন ১৬১ রানের ইনিংস। রকিবুল তামিম এবং কাপুগেদারা- এই দু’জনের রেকর্ডই গুঁড়িয়ে দিলেন।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement