জাতীয়

সংসদে ইপিজেড বিল প্রত্যাহার

অংশীজনের আপত্তির কারণে সংসদে উত্থাপিত বহুল আলোচিত ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম বিল-২০১৬ জাতীয় সংসদের কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইপিজেড এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের ইউনিয়ন করার অধিকার, মজুরি বোর্ড, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত’বিলটি  সংসদীয় কমিটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করার একদিন পর  সোমবার তা প্রত্যাহার করা হলো।

Advertisement

সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পর সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এটি প্রত্যাহারের অনুমতি চান। তখন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তা ভোটে দেন; পরে তা কন্ঠভোটে প্রত্যাহার করা হয়।

গত বছরের ২৪ এপ্রিল কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তা ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

গত এক বছরে কয়েক দফায় এ বিলের প্রতিবেদন দেয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। বিলটি পরীক্ষার জন্য একটি উপ-কমিটিও গঠন করা হয়।২০১৬ সালে বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর এ পর্যন্ত ৬টি বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে একাধিক বৈঠকে শ্রমিক সংগঠনসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার অংশ নেন।

Advertisement

সর্বশেষ গত ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু অংশ নেন। এই বৈঠকে বিলটি পাসের সুপারিশ না করে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।

বিলে বলা হয়েছে, ইপিজেডে অবস্থিত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা শ্রমিক কল্যাণ সমিতি করতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের ৩০ শতাংশ শ্রমিককে ইপিজেড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে।

আবেদনকারীদের মধ্যে ভোটের ব্যবস্থা করা হবে এবং তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ সমিতি করার পক্ষে ভোট দিলে সমিতি অনুমোদন পাবে।

এই সমিতি শিল্প প্রতিষ্ঠানের যৌথ দর-কষাকষির এজেন্ট হবে বলে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে।

Advertisement

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী শ্রমিকরা অবসর সুবিধা, মৃত্যু ও দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ, বাধ্যতামূলক গ্রুপ ইন্সুরেন্স, ভবিষ্যৎ তহবিল, অর্জিত ছুটির নগদায়ণ, পূর্ণ বেতনের সমানহারে বছরে দু’টি উৎসব বোনাস এবং ১৬ সপ্তাহের প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাবেন।

এইচএস/এমএমএ/এমএস