খেলাধুলা

রূপগঞ্জের কাছে হেরে গেল খেলাঘর

রবিউল ইসলাম রবি যেন ছোট দলের বড় তারকা হয়ে উঠেছিলেন। দুটি সেঞ্চুরিসহ উপহার দিলেন দুর্দান্ত কিছু ব্যাটিংয়ের। সেই রবির ব্যাট এবার আর হাসতে পারেনি। তাই হাসতে পারেনি খেলাঘর সমাজকল্যাণ সংস্থাও। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ২৩৯ রানে বেধে রেখে জয়ের দারুণ সুযোগ পেয়েও সেটা কাজে লাগাতে পারলো না নাফিস ইকবালরা। হেরে গেলো ২৮ রানের ব্যবধানে।

Advertisement

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৪০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই দলের সেরা ব্যাটসম্যান রবিউল ইসলাম রবির উইকেট হারায় খেলাঘর। ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফের হাতে উইকেট হারান রবি। এরপর যদিও সালাউদ্দিন পাপ্পু আর নাজমুস সাদাত মিলে ৬২ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করেছিলো খেলাঘর, সেটা খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি রেজা আলির কারণে। ২৭ বলে ৩৮ রান করা পাপ্পুকে সাজঘরে ফেরান তিনি।

একটু পরই অমিত মজুমদার আউট হয়ে যান ১ রান করে। নাজমুস সাদাতের সঙ্গে জুটি গড়েন নাজিম উদ্দিন। ৩৯ রানের জুটি গড়ার পর নাজমুস সাদাত আউট হয়ে যান ৫২ রান করে। নাজিমউদ্দিন করেন ৫৯ রান। রেজাউল করিম ১৬ এবং মাসুম খান করেন ১৩ রান।

শেষ পর্যন্ত ৪৮.১ ওভারে ২১১ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় খেলাঘর সমাজকল্যাণ সংস্থা। শরিফ, রেজা আলি, মোশাররফ হোসেন এবং নাঈম ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট। মাহমুদুল হাসান নেন ১ উইকেট।

Advertisement

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। মুশফিক-মাশরাফিদের অনুপস্থিতিতে দলটির নেতৃত্ব এখন নাঈম ইসলামের কাঁধে। শুরু থেকে বড় কোনো ইনিংস কেউ গড়তে পারেনি। ছোট এবং মাঝারি জুটি গড়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন হতে থাকে রূপগঞ্জের।

মিডল অর্ডারে এসে রাজা আলি আর ইয়াসির আলি চৌধুরী কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেন। ৪৬ রান করেন রাজা আলি এবং সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন ইয়াসির আলি। ৩৬ রান করেন ওপেনার হাসানুজ্জামান। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ৩ উইকেট নেন তানভির ইসলাম। ২ উইকেট নেন ডলার মাহমুদ। ১টি করে নেন সুরাজ রনদিভ, রবিউল ইসলাম রবি এবং মাসুম খান।

আইএইচএস/এমএস

Advertisement