রাজধানীর বনানীতে বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে অস্ত্রের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় অভিযুক্ত নাঈম আশরাফ ও সাফাত আহমেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ রয়েছে।
Advertisement
তারা নিজেরাই অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট (নিষ্ক্রিয়) করেছেন নাকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বন্ধ করেছেন- বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে তাদের মোবাইল নম্বরগুলো। তবে তারা ভাইবার-হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযুক্ত অপর আসামি সাদনান সাকিফের ফেসবুক আইডি সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে তিনিও হোয়াটসঅ্যাপে সচল রয়েছেন।
সোমবার সকালে তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নাঈম আশরাফের প্রতিষ্ঠান ই-মেকার্স বাংলাদেশের ফেসবুক পেজটি এখনও খোলা রয়েছে। পেজটিতে প্রায় সাড়ে ৯৪ হাজার লাইকার রয়েছেন। সোমবার তাদের ব্যক্তিগত নম্বরগুলোতে ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
Advertisement
ফেসবুক আর সীম বন্ধ থাকলেও রোববার রাতে নাঈমকে তার ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। ভাইবার-হোয়াটসঅ্যাপে সচল ছিলেন অভিযুক্ত আরেক আসামি সাদনান সাকিফও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা, গ্রেফতার এড়াতে তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ রেখেছেন। ওয়াইফাই দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন তারা।
নাঈমের ফেসবুক আইডি www.facebook.com/profile.php?id=100002717628807 এবং সাফাতের ফেসবুক আইডি www.facebook.com/profile.php?id=512678466।
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন ওই দুই তরুণী। সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধুদের যোগসাজশে অস্ত্রের মুখে তাদের ধর্ষণ করা হয় বলে দাবি করেন তারা।
ওই ঘটনার ৪০ দিন পর শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন দুই তরুণী। মামলা নং- ৮। এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- সাদনান সাকিফ, তার বন্ধু সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী (নাম উল্লেখ করা হয়নি)।
Advertisement
অভিযুক্তদের মধ্যে সাফাতের বাবা দিলদার আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিক এবং সাকিফ গুলশানের তেজগাঁও লিংক রোডের রহমান পিকাসো রেস্টুরেন্টের মালিকের ছেলে। অভিযুক্ত সাফাত ও নাঈম ইয়াবা আসক্ত বলে জানান বাদীর পরিবারের সদস্যরা। এআর/জেডএ/এমএআর/পিআর