ফিচার

ধ্বংসের মাঝেই যাদের শুরু

কোনো কিছুর জন্যে জীবন বা নদীর স্রোত থেমে থাকে না। ঠিক যেমন সময় থমকে থাকেনি কাঠমান্ডুতে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ফুটে উঠেছে নব দম্পতিদের হাসি মুখের ছবি। হ্যাঁ, প্রকৃতির রোষানলের সামনে ক্ষতবিক্ষত হয়েও জীবনের হাত ছাড়েননি এরা। জীবনকে আঁকড়ে ধরে, তার সঙ্গে পা মিলিয়ে এগিয়ে গেছেন ভবিষ্যতের দিকে। হাজারও মৃত্যুর মাঝেও আপন করে নিয়েছেন এক নতুন জীবনকে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন... শবের সারির মধ্যে থেকে মাথা তুলে এক দম্পতি আবদ্ধ হয়েছেন বিবাহ বন্ধনে।নেপালে ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে উদ্ধার ১০১ বছরের বৃদ্ধ বিয়ে ঠিক হয়েছিল অনেক আগেই। সেই মতোই চলছিল সব আয়োজন। কিন্তু এরই মাঝে ভূমিকম্পের প্রবল রোষে ছাড়খাড় হয়ে গিয়েছিল জনজীবন। তাই কয়েকটা দিন সময় নিয়েছিলেন বিরাট ধাক্কা সামলে নেওয়ার জন্যে। ২৫ এপ্রিলের বদলে তাই ফরাসি কনে ইউজিন প্রুভোস্ত গাঁটছড়া বাঁধলেন নেপালের দীপেশ মুনাকামির সঙ্গে ১ মে। যদিও অতিথি তালিকা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছিল, কিন্তু নতুন জীবন শুরু করেছেন হাসি মুখে জীবনের প্রতি, ভবিষ্যতের প্রতি চরম আস্থা রেখে। ইউজিন এবং দীপেশ দু`জনেই লন্ডনে কর্মরত। ১১ বছরের প্রেম পর্বের পর বিয়ের পিঁড়েতে তারা। ইউজিনের মতে, তাদের এই পদক্ষেপ সর্বহারাদের কাছে নতুনের বার্তা পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। তবে শুধু ইউজিন বা দীপেশই নন, ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে এমনই সাহসী পদক্ষেপ নিতে পেরেছেন আরও এক দম্পতি- অনিতা থাপা (২২ বছর) এবং সাগর কেসি (২৪ বছর)। তাদেরও বিয়ের নির্দিষ্টদিন ছিল সেই অভিশপ্ত ২৫ এপ্রিল। সেদিন সেই শুভকাজে বাধা পড়লেও, একটু সামলে নিয়েই বিয়ে সেরে ফেলেছেন অনিতা এবং সাগর। বারাতির শোরগোল না থাকলেও তাদের সঙ্গে ছিলেন আত্মীয়-পরিজনের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ।বিএ/আরআইপি

Advertisement