শিরোনামে হতে পারতো বিধ্বংসী বোলিং; কিন্তু তার পরিবর্তে লিখতে হলো বিধ্বংসী ব্যাটিং। সুনিল নারিনের ক্ষেত্রে বিধ্বংসী ব্যাটিং লেখাটা কেমন যেন খাপছাড়া খাপছাড়া; কিন্তু তিনি যা করে দেখিয়েছেন, সেটাকে এর চেয়ে ভিন্ন কোনো শব্দে লেখা ঠিক মানায় না।
Advertisement
আইপিএলের ইতিহাসে এতটা বিধ্বংসী ব্যাটিং খোদ ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, বিরাট কোহলি কিংবা যুবরাজ সিংরা করতে পারেননি। আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেলেন তিনি। ১৫ বলেই ছুঁয়ে ফেললেন এই ম্যাজিক্যাল ইনিংস। তাতেই উড়ে গেলো বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কেকেআর জিতেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। হাতে বল বাকি ছিল ২৯টি।
প্রথমে ব্যাট করে কেকেআরের সামনে ১৫৯ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়েছিল বিরাট কোহলি-ক্রিস গেইলরা। জবাব দিতে নেমে কেকেআরের দুই ওপেনার ক্রিস লিন আর সুনিল নারিনই জয়ের মূল কাজটা সেরে ফেলেন। ৬ ওভারেই তারা শাহরুখ খানের দলের রান পার করে দেন ১০০। আইপিএলের ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে (প্রথম ৬ ওভার) এত বেশি রান এর আগে হয়নি।
সুনিল নারিনের সঙ্গে সমান বিধ্বংসী ছিলেন অসি ব্যাটসম্যান ক্রিস লিনও। ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। ১৭ বলে ৫৪ রান করে নারিন আউট হন। ৫টি বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি। লিন আউট হন ৫০ রান করেই। ৬টি বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কা দিয়ে ইনিংস সাজান তিনি।
Advertisement
এরপর অবশ্য কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম এবং গৌতম গম্ভীরের উইকেটও হারাতে হয় কেকেআরকে। ২৮ বলে ৩১ রান করেন গ্র্যান্ডহোম এবং ১৪ রান করে আউট হন গম্ভীর। শেষ দিকে মানিষ পাণ্ডে এবং ইউসুফ পাঠান মিলে ১৫.১ ওভারেই কলকাতাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ট্রাভিস হেডের অপরাজিত ৭৫ এবং মানদিপ সিংয়ের ৫২ রানের ওপর ভর করে ৬ উইকেটে ১৫৮ রান করেছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স আর বিরাট কোহলির সম্মিলিত রান ১৫।
এই জয়ের ফলে ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো কেকেআর। ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আর ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট হলেও রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট রান রেটে পিছিয়ে থেকে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। আর বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু কার্যত আইপিএল থেকে বিদায়ই নিয়েছে। ১৩ ম্যাচ শেষে তাদের অর্জন মাত্র ৫ পয়েন্ট।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement