কেলেঙ্কারি ও বিস্ময়ে ভরা নির্বাচনী প্রচারণার পর রোববার সকালে থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ফরাসিরা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মধ্যপন্থি অথবা ইইউ বিরোধী, অভিবাসনবিরোধী কট্টর ডানপন্থিদের ভোটের ওপর নির্ভর করছে ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে কে দায়িত্ব পালন করবেন।
Advertisement
তবে সর্বশেষ মতামত জরিপ বলছে, ৩৯ বছর বয়সী দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী এমানুয়েল ম্যাক্রোঁই এগিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে। মধ্যপন্থি ম্যাক্রোঁ দেশটির ডান-বাম ভেদাভেদ ভুলে সেতুবন্ধন তৈরি করতে চান। ইইউ বিরোধী মনোভাবও ঠেকাতে চান তিনি।
তবে কট্টর ডানপন্থি ন্যাশনাল ফ্যন্টের প্রার্থী মেরিন লি পেন যদি এই নির্বাচনে জয় লাভ করেন; তাহলে ব্রেক্সিটের পর এবার ফ্রেক্সিট (ফ্রান্সের ইইউ ত্যাগ) এর মতো ঘটনা দেখা যেতে পারে।
ম্যাক্রোঁ, যিনি অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চান। বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, মতামত জরিপে লি পেনের চেয়ে ২৩ থেকে ২৬ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন ম্যাক্রোঁ।
Advertisement
এর আগে গত মাসে দেশটির প্রথম রাউন্ডের নির্বাচনের সময় যে মতামত জরিপগুলো উঠে এসেছিল; সেগুলো শেষ পর্যন্ত সত্য হয়েছে। গত বুধবার তিক্ত টেলিভিশন বিতর্কের পর ম্যাক্রোঁ তার প্রতিদ্বন্দ্বি লি পেনের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। দেশটির শেয়ার বাজারেও এর চাঙ্গা প্রভাব পড়ে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ১২টা পর্যন্ত ২৮ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর আগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ভোট পড়ার হার কম। ইউরোপজুড়ে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ফরাসি এ নির্বাচন।
ফরাসি নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে ইইউর ভবিষ্যৎ। দেশটির মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে; শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
তবে বেশ কিছু বড় শহরে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র খোলা থাকবে। ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই নির্বাচনী ফলাফলের ঘোষণা আসা শুরু হবে। দেশটির বিভিন্ন শহরে নির্বাচনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫০ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
Advertisement
এসআইএস/জেআইএম