জহির খান অবশেষ নেতৃত্বে ফিরে এলেন; কিন্তু দলের যা ক্ষতি হওয়ার আগেই হয়ে গেছে। করুন নায়ারের নেতৃত্বে আগেই একবার ৬৭ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। যদিও মাঝে এক ম্যাচ জিতেছে দিল্লি। তবে এবার জহির খান আসার পরও অলআউট হতে হলো মাত্র ৬৬ রানে। ফলে দিল্লিকে হারতে হলো ১৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। যা আইপিএলের ইতিহাসে সেরা।
Advertisement
মুম্বাইর ছুঁড়ে দেয়া ২১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই মিচেল ম্যাকক্লেনঘানের সামনে উইকেট বিলিয়ে দিলেন সাঞ্জু স্যামসন। তার ক্যাচ ধরেন ল্যান্ডল সিমন্স।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে স্রেয়াশ আয়ার (৩), রিশাব পান্ত (০), করুন নায়ার (২১), কোরি অ্যান্ডারসন (১০), মারলন স্যামুয়েলস (১), প্যাট কামিন্স (১০), কাগিসো রাবাদা (০), অমিত মিশ্র (৯*), মোহাম্মদ শাদি (৭) এবং জহির খান (২) আউট হন।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বোলারদের সামনে ১৩.৪ ওভারেই ৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায় দিল্লি। মুম্বাইর পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন হরভজন সিং এবং কর্ণ শর্মা, ২টি নেন লাসিথ মালিঙ্গা এবং ১টি করে উইকেট নেন মিচেল ম্যাক্লেনঘান এবং জসপ্রিত বুমরাহ।
Advertisement
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির বোলারদের সামনে রীতিমত ঝড় তোলেন মুম্বাইর ব্যাটসম্যানরা। ল্যান্ডল সিমন্স আর পার্থিব প্যাটেল মিলে ৭৯ রানের জুটি গড়েন। ২২ বলে প্যাটেল ২৫ রান করে আউট হযে গেলে কাইরণ পোলার্ড এবং সিমন্স জুটি বাধেন।
৪৩ বলে ৫ চার আর ৪ ছক্কায় ৬৬ রান করে আউট হন সিমন্স। ৩৫ বলে একই পরিমাণ চার আর ছক্কায় ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন পোলার্ড। রোহিত শর্মা ১০ রান করে আউট হয়ে গেলেও হার্দিক পান্ডিয়া করেন ২৯ রান।
এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে নিজেদের অবস্থান নিরঙ্কুশ করলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সে সঙ্গে প্লে-অফও তাদের প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
আইএইচএস/
Advertisement