দেশজুড়ে

সেলাইয়ের কাজ করেও গোল্ডেন এ প্লাস পেল আঁখি

বাবা নেই, মা করেন দর্জির কাজ। মায়ের সঙ্গে দর্জির কাজ করে অতি কষ্টে চলে সংসার ও দুই বোনের লেখা পড়া। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের এমনি এক অসহায় পরিবারের সন্তান আঁখি মনি। সেলাইয়ের ফোঁড়ে ফোঁড়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন আঁকে সে।

Advertisement

আঁখি এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। জন্মের পর মায়ের মুখে শুনেছে তার বাবা আলী আজম জ্বরে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার অভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে নিরুদেশ হয়ে যায়। তখন থেকে মা জয়নব নেছা বাড়ির পাশে বাজারে কাপড় সেলাই করে সংসার চালায়।

বাবা হারানোর সেই কষ্ট থেকে জীর্ণশীর্ণ কুটিরে জন্ম নিয়ে আঁখি মনি এবার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। যদিও সেই স্বপ্ন পূরণে পথে পথে রয়েছে সংশয়। তারপরও এগিয়ে যেতে চায় মেধাবী আঁখি মনি।

আঁখি মনি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। আঁখিকে নিয়ে প্রতিবেশী সফিয়ার রহমানের বাড়িতে তার মায়ের রয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই।

Advertisement

আঁখি মনির মা জয়নব নেছা বলেন, বাড়ির পাশে গড্ডিমারী হাটখোলাতে পুরাতন কাপড় সেলাই করে দুই মেয়েকে নিয়ে কোনো রকম বেচেঁ আছি। মেয়ের ইচ্ছা লেখাপড়া করা কিন্তু আমার সেই আর্থিক সমর্থন নেই।

আঁখি মনি জানায়, যত বাধাই আসুক, আমি এগিয়ে যাবো। আমার মতো আর কেউ যেনো চিকিৎসার অভাবে বাবা হারা না হয়। সেই লক্ষ্যেই আমাকে এগিয়ে যেতে হবে।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতোয়ার রহমান বলেন, মেয়েটি পিএসসি ও জেএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস ও বৃত্তি পেয়েছে। সুযোগ পেলে তার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব।

রবিউল হাসান/এএম/আরআইপি

Advertisement