আগের ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুলের কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের বিপক্ষে বড় জয় (৬ উইকেটের ব্যবধানে) পেয়েছিল আবাহনী। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে ভর করে আজ (শুক্রবার) আরেকটি বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল মোহাম্মদ মিঠুনের দল। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ১০৭ রানে জিতল আবাহনী।
Advertisement
৩০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালোই ছিল প্রাইম ব্যাংকের। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫০ রান। মেহেদী মারুফ করেন ৩১ রান। আর শানাজ আহমেদের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ রান। আল-আমিন নামের পাশে যোগ করেন ৩১ রান।
শেষ দিকে লড়াই করেন সালমান হোসেন। ৭৫ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তার লড়াইয়ের পরও ১৯৮ রানে অলআউট হয়েছে প্রাইম ব্যাংক। পরাজয়ের গ্লানি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দলটিকে।
আবাহনীর সেরা বোলার শুভাগত হোম। ৯.৫ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে পকেটে পুরেছেন ৫ উইকেট। মানান শর্মা নিয়েছেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট ঝুলিতে জমা করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, কাজী অনিক ও সাকলাইন সজীব।
Advertisement
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আবাহনী। দলকে শুভসূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সাদমান ইসলাম। গড়েন ১১৯ রানের জুটি। আর এই জুটি ভাঙেন নাহিদুল ইসলাম। প্রাইম ব্যাংকের এ বোলার পরাস্ত করেন লিটস দাসকে। বিদায়ের আগে ৬৩ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৬৫ রান করেন আবাহনীর এই উইকেটরক্ষক।
সঙ্গী হারালেও হাল ছাড়েননি সাদমান ইসলাম। আরিফুল হকের বলে আসিফ আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। খেলেছেন ১০৩ রানের ইনিংস। তার ১০০ বলের এই ইনিংসটি সাজানো ৯টি চার ও তিনটি ছক্কায়। তিনে ব্যাট করতে নামা সাইফ হাসান পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। ৫৩ বলে দুটি চার ও তিনটি ছক্কায় করেছেন ৫১ রান।
নাজমুল হাসান শান্ত খুব বেশি এগোতে পারেননি। থেমেছেন ২২ রানে। শুভাগত হোমের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ বলে ২৩ রান। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে তিনটি করে উইকেট দখলে নেন আল-আমিন হোসেন ও আরিফুল হক। সালমান হোসেন ঝুলিতে জমা করেছেন দুটি উইকেট। নাহিদুল ইসলাম লাভ করেছেন একটি উইকেট।
এনইউ/পিআর
Advertisement