আন্তর্জাতিক

জাপানে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল ট্রেনের যাত্রা শুরু

পূর্ব জাপান রেলওয়ে কোম্পানির সর্বশেষ সংযোজন ‘শিকি শিমা’ ট্রেন। দুরন্তগতির ‘শিনকানসেন’ বুলেট ট্রেনের পর এবার সবচেয়ে বিলাসবহুল ট্রেন আনল জাপান।

Advertisement

বিলাসবহুল ওই ট্রেনটি টোকিওর উয়েনো স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। মূলত জাপানসহ সারা বিশ্বের ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এ ট্রেনটি চালু করছে জাপান রেলওয়ে।

শিকি-শিমায় চার দিন তিন রাত ভ্রমণ করতে চাইলে যাত্রীদের জনপ্রতি সাড়ে আট হাজার মার্কিন ডলার গুনতে হবে। কেউ সঙ্গীসহ ঘুরতে চাইলে খরচ হবে আরো ১৭ হাজার মার্কিন ডলার।

ট্রেনটিতে সব মিলিয়ে বগি আছে ১০টি। এটি চলবে ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিতে। এতে পৃথক দুটি পর্যবেক্ষণ বগি রয়েছে; সঙ্গে ৬টি বগিতে ৩৪ জন যাত্রী বসতে পারবেন। চলার সময় কোনো ঝাকুনি বা শব্দও করবে না ট্রেনটি।

Advertisement

শুধু তাই নয় এই ট্রেনটি যে লাইনগুলোতে চলবে তার দুইপাশের রাস্তায় নানা ধরণের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। এ যেন এক শান্তিময় প্রাকৃতিক পরিবেশে স্বপ্ন যাত্রা। ট্রেনটির মূল স্লোগানই হলো একটি মসৃণ যাত্রার প্রত্যাশায় শান্তিময় ভ্রমণ।

ট্রেনটির আকর্ষণীয় দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে দু’পাশে বিশাল ত্রিভুজাকৃতির জানালা মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত বিস্তৃত। আরামদায়ক আসন যা যাত্রীদেরকে ট্র্যাকের সঙ্গে দৃশ্যপটগুলো দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। বাবুর্চিরা যাত্রীদের পছন্দমাফিক সুস্বাদু সব মৌসুমি খাবারও পরিবেশন করবেন।

পানীয়র সঙ্গে পিয়ানোর সুর শুনতে পাবেন নৈশভোজের পর। ফায়ারপ্লেসের পাশে বসে উষ্ণতা নেওয়ার সুযোগ তো থাকছেই।

এই ট্রেনযাত্রা টোকিও থেকে শুরু হয়ে জাপানের সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপ হোক্কাইডোতে গিয়ে শেষ হবে। সেখান থেকে ফিরতি ট্রেনও আছে। উদ্বোধনী পর্যায়ে গত সোমবার ট্রেনটি ৩৩ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করে সফলভাবে গন্তব্যে পৌঁছেছে।

Advertisement

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টিকিটের দাম অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও যাত্রীদের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। ইতোমধ্যে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে।

শিকি-শিমা ছাড়াও জাপানে ২০১৩ সালে কিয়ুশু রেলওয়ে তাদের ‘সাত তারকা’ মানের সেবা শুরু করে। এই ট্রেনের ভিতরে পিয়ানো, পানশালা, বিলাসবহুল স্যুইট কোনো কিছুরই কমতি নেই।

আর ওয়েস্ট জাপান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আগামী জুনে ঘুমানোর উপযোগী অত্যাধুনিক ‘টোয়াইলাইট এক্সপ্রেস মিজুকাজে’ ট্রেন চালুর ঘোষণা দিয়েছে।

কেএ/টিটিএন/পিআর